সবুজ সরকার স্টাফ রিপোর্টার : আবার ও রমরমা বানিজ্য চলছে সিরাজগঞ্জের বেলকুচির কথিত ভূয়া ডাঃ সোলায়মান হোসেনের। গত ২১ সেপ্টেম্বর ও ১৫ অক্টবরে ২০১৯ ইংরেজি তারিখে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায়, অনলাইন পোর্টাল সহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস মিডিয়াতে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরেও থেমে নেই তার চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা। এতে জনমতের মাঝে চরম ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। তবে সংবাদ প্রকাশের হওয়া পর বিষয়টি জেলা সিভিল সার্জনের নজরে আসলে তিনি বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মাহবুব হোসেনকে তদন্ত করার নির্দেশ দেন। পরে তদন্তের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তিন বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন তিনি । তদন্ত কমিটিতে সে পাইলস মলদ্বারে,অর্শ,গেজ,ও পলিপাস এ ধরনের অপারেশন করে থাকেন প্রমানিত হয়।
তখন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাবেক ঐ কর্মকর্তারকাছে গত ১৫ অক্টবের লিখিত ভাবে অঙ্গীকার করেন যে আমি আর এই ধরেন অপারেশন করবো না। কিন্তু সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। কোন কিছুর তয়ার্কা না করে সে আবার চোখের,পাইলস মলদ্বারে,অর্শ,গেজ, পলিপাস,ও জটিল রোগের অপারেশন করছেন । যার কোন সনদ নেই তবুও এসব অপকার্য চালিয়ে যাচ্ছেন যার কারছে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য ঝুকির মধ্যে পরছে আর ক্ষয়ে যাচ্ছে তাদের লক্ষ লক্ষ টাকা।
এ দিকে তার কাছে চিকিৎসা নিতে আসা গত ২৭ জানুয়ারী (সোমাবার) উল্লাপাড়া উপজেলার বেতকান্দি গ্রামের মজিবর রহমানের স্ত্রী শান্তনা খাতুন (৪৫) জানান, আমার অনেক দিন হলো চোখের সমস্যা অনেক ডাক্তার দেখিয়েছি কিন্তু আমার এক আত্নীয় আমাকে সালমা ক্লিনিকে সোলায়মান ডাক্তরের কাছে নিয়ে আসে। সোলায়মান ডাক্তার আমার চোখের অপারেশন করেছেন । কত টাকা নিয়েছেন অপারেশনের বাবদ তার উত্তরে রোগীর স্বামী মজিবর রহমান বলেন, অপারেশন বাবদ সাত হাজার টাকা নিয়েছেন। তখন কান্না জনিত কন্ঠে শান্তনা খাতুন বলেন চোখ ঠিক হবে কি না জানিনা।
আর কামারপাড়া পূবারী ফ্যাশান লিমিটিডের গার্মেন্ট শ্রমিক সাইফুল রহমান জানান, কয়েকদিন আগে আমি সালমা ক্লিনিকে আসি নাকের সমস্যার জন্য। ডাক্তার সোলেয়মান অপারেশন করেন। অপারেশন করার পর নাক থেকে প্রচুর রক্ত বের হয়। রক্ত পরা বন্ধ না হওয়ায় আমি অন্য ডাক্তরের মাধ্যমে রক্ত পরা বন্ধ করি। কেনো তিনি চিকিৎসার জন্য সালমা ক্লিনিকে আসলেন জানতে চাইলে বলেন আমি বিভিন্ন জায়গায় লিফলেট লাগিয়েছে সেটা দেখে এসেছি সে ডাক্তর কি না আমি যানি না। আমি চাই এই ভূয়া ডাক্তারের উপযুক্ত শাস্তি হওয়া দরকার। সে যেন আমার মত আর কাউকে অপচিকিৎসা না দিয়ে সমস্যার মধ্যে না ফেলতে পারে।
ভূয়া ডাক্তার সোলায়মানের ক্লিনিকের আশে পাশের থাকা প্রতিবেশিরা জানায় , এই সোলায়মান হোসেন ডাক্তার না হয়ে রোগী দেখেন প্রতিনিয়ত। নিজেই ডাক্তার বলে মুকুন্দগাঁতী বাজারে ঢাকা ব্যংকের পাশে সালমা ক্লিনিকে রোগীদের সঙ্গে চিকিৎসা সেবা নামে প্রতারণা করছে। প্রশাসনের নজরদারী না থাকায় কারণে দীর্ঘদিন এভাবেই সে প্রতারণা করে আসছে।
তবে কথিত ভূয়া ডাক্তার সোলায়মানের কাছে প্রতিবেদক সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জানতে চাইলে, সে কোন কথা না বলে তার ক্লিনিক থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান ।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এ,কে,এম মোফাখখারুল ইসলাম বলেন , আমি এখানে নতুন এসেছি। আমার বিষয়টা জানা নেই
যদি সে এই ধরনের অপারেশন করে থাকে বিষয়টা উর্ধতন কর্মকর্তাকে অবহিত করা হবে।
জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ জাহিদুল ইসলাম প্রতিবেদককে জানান, আমরা ইতিপূর্বে তার ব্যাপারে তদন্তের জন্য প্রতিনিধিদের পাঠিয়েছিলাম। তখন তার ওখানে কোন বেড বা অনুসাঙ্গীক সরঞ্জামাদি পাওয়া যায়নি। আমি ব্যাপারে এখনই স্থানীয় কর্মকর্তাকে দিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
You cannot copy content of this page