সবুজ সরকার স্টাফ রিপোর্টারঃ
সিরাজগঞ্জ বেলকুচি ইউনিয়নের দেলুয়া গ্রামের বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে হোসাইন নামের এক শিশুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ঝলসে গেছে। টাকার অভাবে তার পরিবার চিকিৎসা করাতে পারছেন না। ফলে বিনা চিকিৎসায় ওই শিশু এখন মৃত্যু পথযাত্রী। আহত হোসাইন বেলকুচি উপজেলার দেলুয়া গ্রামের শরীফ উদ্দীনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ (আগস্ট) সোমবার বেলকুচি পৌর এলাকায় মুকুন্দগাঁতী গ্রামস্থ কড়ইতলা মোড়ে রেইনবো রেস্টুরেন্টে হোসাইনের পাশের বাসার জরিনা, রফিক, শফিকুল, চায়না জোড়পূর্বক কাজের জন্য নিয়ে যায়। রেস্টুরেন্টের ছাদে খালি পানির বোতল রাখতে গেলে বৈদ্যুতিক সংস্পর্শে তারের সাথে লেগে যায়। তারপর স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে বেলকুচি উপজেলা কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তার অবস্থা আশংঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসক তাকে ঢাকা বার্ন ইউনিটে রেফার্ড করেন। ঢাকা বার্ন ইউনিটে ভর্তি হওয়ার পর অপারেশনের মাধ্যমে তার শরীর থেকে একটি হাত কেটে ফেলা হয়। কর্মরত চিকিৎসক ৫/৬ মাস ভালো হওয়ার জন্য চিকিৎসা দেওয়া লাগবে বলেন। টাকার অভাবে পুরো চিকিৎসা শেষ না করে, পরিবারের লোকজন ২ মাস পরে বাড়িতে নিয়ে আসে। টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায় বাড়িতে পরে আছে এই শিশু। অসহ্য যন্ত্রনায় নিদ্রাহীন দিনরাত কাটছে তার। বৈদ্যুতিক তারে পোড়া শরীরে যন্ত্রনায় ক্ষণে ক্ষণে চিৎকার করে উঠছে। পুরে যাওয়া মাথা দিয়ে পুজ বের হচ্ছে।
এ ব্যাপারে হোসাইনের বাবা শরীফ উদ্দীন কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ। টাকা পয়সা যা ছিলো সব টাকা ২ মাস চিকিৎসা করে শেষ করেছি। নেই কোনো সয়-সম্পত্তি। টাকার অভাবে মৃত্যুমুখে পড়ে থাকা ছেলের চিকিৎসা করাতে পারছি না। পাশে বসে বসে ছেলের মৃত্যু যন্ত্রনা দেখচ্ছি । যদি জায়গা-জমিন থাকত, তাহলে তা বিক্রি করে ছেলের চিকিৎসা করাতাম। এখনো আমার ছেলের চিকিৎসার জন্য ২/৩ লক্ষ টাকা লাগবে।
কিন্তু আমার কিছুই নাই। সমাজের ভিত্তবানরা এগিয়ে না আসলে আমার ছেলেকে আমি বাঁচাতে পারব না।
আসুন হোসাইনের পাশে দাঁড়াই। তাকে সুস্থ করে তুলি। আমাদের সামান্য সহযোগিতা একত্রিত করলে আবারো নতুন জীবন ফিরে পাবে হোসাইন। তাকে সহযোগিতা করতে চাইলে যোগাযোগ করুন হোসাইনের (পিতা) শরীফ উদ্দীন গ্রামঃ দেলুয়া
থানাঃ বেলকুচি, জেলাঃ সিরাজগঞ্জ। মোবাইল নাম্বার বিকাশঃ পার্সোনাল 01751253332 হোসাইনের (বাবা)।
You cannot copy content of this page