মোঃ সেলিম রেজা তাজ,ব্যুরো চীফঃ বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনাভাইরাস আজ মানুষের জীবন মহাসংকটে ফেলে দিয়েছে।
মরণ ঘাতক করোনা ভাইরাস এক আতংকের নাম। বিশেষ করে দেশের নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনে নেমে এসেছে অবর্ণনীয় কষ্ট ও যন্ত্রণা।
বর্তমান সরকারের সঠিক সময়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। জনসমাগম বন্ধ করে সকলকে ঘরের মধ্যে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন এবং এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। যারা খেটে খাওয়া মানুষ দিন মজুর আজ তারা খুব চিন্তায় কি করে সংসার চলবে।
এই খেটে খাওয়া ও দরিদ্র পরিবারের মাঝে মানবিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে বুধবার (o১লা এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বেনাপোল কাস্টম হাউসের সামনে বেনাপোল পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড পাড়া মহল্লার ছিন্নমূল কর্মহীন ১৫০ টি অসহায় মানুষের পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী চাল ২০ কেজি, ডাল, তেল, লবন, সাবান, আলু বিতরন করেন বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার বেলাল হোসাইন চৌধুরী ৷
কমিশনার বেলাল হোসাইন বলেন ,লকডাউন সময় বাড়ছে। দৈনিক আয়ের পরিবারগুলোতে আর্তনাদ বইছে। নীরব সে ডাক! কেউ শুনছে,কেউ এড়িয়ে।
এমন দিন আসবে এরা ভাবেননি! দুর্যোগ কবে যাবে, আবার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়বে! সে আশাও আশু পূরণ হবার নয়। অবস্থা বলছে, দুর্যোগ বাড়বে!
সবমিলে দিশেহারা দৈনিক আয়ের এ শ্রেণী। ধার বা সাহায্য! চাইতেও পারছে না। মন বললেও মুখ খুলছে না। প্রবল আত্মসম্মান!
বেনাপোলে একটা বড় গোষ্ঠী এমন। কাস্টমসের কিছু সিপাই, দৈনিক মুজুররিধারী কর্মচারি, মালি, পরিচ্ছনকারী, বলবয়, পাঁচক, ঘরসেবী, দিনমুজুর অনেকে। স্থলবন্দরের দৈনিক শ্রমিক, সিএন্ডএফ কর্মচারিও একটা বড় সংখ্যা।
আমাদের খুব কাছেই এরা। আমাদের একজন এসির সাথে স্থানীয় কর্মকর্তা, শ্রমিক নেতা, সাংবাদিক মিলে আমরা বন্দরকেন্দ্রিক প্রায় দেড়শ পরিবার বাছাই করেছি।
সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করে বেনাপোল বন্দরকেন্দ্রিক সংস্থাগুলোর দৈনিক আয় নির্ভর কর্মচারীদের মধ্য কাস্টম হাউস থেকে আজ ফুড ব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন ,বিশ্বের মানুষ আজ মহাসংকটে, তাই আমার ক্ষুদ্র প্রয়াসে ছিন্নমূল কর্মহীন অসহায় মানুষদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করেছি। সবার প্রতি বিনীত অনুরোধ এই মহাসংকটে আপনারাও মানুষের পাশে দাঁড়ান। যতদিন পর্যন্ত করোনা দুর্যোগ শেষ না হবে ততদিন পর্যন্ত দরিদ্র মানুষের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান তিনি। সম্পূর্ণ ব্যাক্তিগত উদ্যোগে এ সেবা দিয়ে যাচ্ছি, অব্যাহত থাকবেন বলে জানান তিনি। ।
সময় এমন থাকবে না৷ এদের পাশে দাঁড়ানোর সময় এখনই ৷
অনেক দিন-মজুর খাদ্য সামগ্রী হাতে পেয়ে আনন্দে আত্যহারা হয়ে কেঁদে ফেলেছেন। তেমনি এক বৃদ্ধ অলিয়ার রহমান তিনি বলেন আমরা যারা দিন-মজুর কাজ কর্ম করে খাই তাদেরকে এই মুহুর্তে সাহায্য করা বড়লোকদের দায়িত্ব। কমিশনার স্যারের মতো এইভাবে আমরা যদি সকলের কাছ থেকে সাহায্য পাই তাহলে না খেয়ে আরা মরব না। আমরা আজ কমিশনার স্যার ও কাস্টমের অফিসারদের জন্য দোয়া করি মহান আল্লাহর কাছে। আল্লাহ যেন, তাদের এই মহৎ উদ্যেগকে কবুল করেন।
You cannot copy content of this page