অমরেশ দত্ত জয়ঃ চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের “ত্রাণ যাবে বাড়ি”প্রোগামের আওতায় সংশ্লিষ্ট হট নাম্বারে কল করে পহেলা এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত ৮’শ ৬ জন লোক ত্রাণ সহযোগিতা পেয়েছেন।৭ই এপ্রিল মঙ্গলবার জেলা প্রশাসন সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।যেখানে ত্রাণ পেতে মোট কল রিসিভ করা হয়েছিলো ১ হাজার ৫’শ ১৮টি।এ বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান জানান,আমাদের ‘ত্রাণ যাবে বাড়ি’ বিশেষ প্রোগ্রামটি করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সদর উপজেলার জন্য চালু হয়েছে।যেখানে দু’টি হট লাইনে কল করলেই ঘরে নিয়ে এই ত্রাণ পৌঁছানো হচ্ছে।কারা পাচ্ছে এই ত্রাণ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান,হট নাম্বার ২টি হলেও অসংখ্য কল আমাদের কাছে আসে।যেখানে উচ্চবিত্ত,অসহায়,ভাসমান ও মধ্যবিত্ত মানুষ প্রতিনিয়ত না জেনে কল দিচ্ছেন। তবে যেভাবেই কল আসুক না কেন!আমরা কলগুলো রিসিভ করে কিছু যাচাই-বাছাই করি।যেমনঃযিনি কল করেছেন তার বয়স ৫০ এর বেশি কিনা?তার পরিবারের কর্মক্ষম লোক(হোটেল,স্বর্ণের দোকান বা সেলুন-এ) কাজ করতো কিনা? যদি ওই পর্যায়ের লোক এ ধরনের কাজ করে বর্তমানে সরকারি নির্দেশ পালন করতে গিয়ে কর্মহীন হয়ে থাকে। মূলত তাদের মতো লোকদেরকে আমরা এই ত্রাণ দেবার জন্য বিবেচনায় রাখি।এছাড়াও সরকারি নির্দেশ পালন করতে গিয়ে সরকারি অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কিংবা নিম্ন মধ্যবিত্ত যারা রয়েছেন।শুধু তাদেরকেই এই ত্রাণ দেওয়া হয়।তিনি আরো জানান,আমাদের মোট ৪০জন সেচ্ছাসেবী বাইকার রয়েছেন।যারা তাদের বাইক নিয়ে প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কল করা ব্যক্তিদের বাড়িতে গিয়ে ত্রাণ পৌঁছে দিয়ে আসছেন।যেখানে প্রতি প্যাকেটে ৫ কেজি চাল,১ কেজি আলু,১ কেজি পেঁয়াজ, ১ কেজি লবণ, আধা কেজি ডাল,১ কেজি আটা, ১টি হাত ধোওয়ার সাবান দেওয়া হয়।করোনা পরিস্থিতি উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত আমরা এই প্রোগ্রামটি চালিয়ে রাখার চেষ্টা করবো।এ ব্যপারে জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান জানান,আমরা চাই সরকারি নির্দেশনা মেনে সবাই ঘরে থাকুক।সরকার মানুষের পাশে রয়েছে।আমি দৃঢ় কন্ঠে বলতে চাই-আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী রয়েছে।তাই দয়া করে অযথা ঘর থেকে বের হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই।সবাই সুস্থ্য থাকুক এই কামনা করছি।
Leave a Reply