রোকনুজ্জামান (রকু) : সিরাজগন্জ চৌহালী উপজেলার দেখা মিলল কিছু কৃষাণ-কৃষাণীর। তাদের অনেকের মুখে মাস্ক নেই। তারা মাঠে ব্যস্ত কৃষি কাজে। আবাদি জমির পরিচর্যায় ঘাম ঝরা রোদে ক্লান্তিহীন পরিশ্রম করছে। শ্রমজীবী এসব মানুষের মধ্যে নেই করোনা আতঙ্ক। তাদের চোখে মুখে ফসল বাঁচানোর চিন্তা। এদের কেউ কেউ কৃষি শ্রমিক। অন্যের জমিতে কাজ করলেই চুলোয় ওঠে ভাতের হাঁড়ি। তাই করোনা সংক্রমণ নিয়ে এরা চিন্তিত নয়। এদের কপালে চিন্তার ভাজ দু’মুঠো ভাতের যোগান নিয়ে।
বুধবার (৯ এপ্রিল ) সকালে চৌহালী উপজেলার খাষকাউলিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে মোতালেব, মোহাম্মাদ আলী ,জিন্নাহ সাথে কথা হয় এমনটাই দেখা গেছে। সামাজিক দূরত্ব কিংবা সঙ্গরোধের বালাই নেই সেখানকার মানুষের মধ্যে। আবাদি জমির পরিচর্যায়। কেউবা ব্যস্ত গরুর পরিচর্যায়। সচেতনতার অভাবের চেয়ে এখানকার অসহায়, দুস্থ ও শ্রমজীবী মানুষের পেটের ক্ষুধা মেটানোর অভাবটা একটু বেশি। তাই সরকারি নির্দেশনা কিংবা করোনা মোকাবিলায় সঙ্গরোধে থাকার বিষয়টি এখানে উপেক্ষিত। কৃষি শ্রমিক আব্দুল মান্নান বলেন, হামরা কামলা দিয়া খাই। ঘরোত থাকলে পেট চলবে কেমন করি। খাবার ব্যবস্থা করি দিলে না। ওই করোনা রোগের চ্যায়া প্যাটের ক্ষুধা বেশি ভয়ংকর ।’ উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মামুনুর রহমান জানান, ছোট-বড় সব মিলিয়ে নিম্ন আয়ের ২০ হাজার জনগন । শ্রম বিক্রিই এসব পরিবারের একমাত্র বেঁচে থাকার পথ। তাই নিজেদের জীবিকার তাগিদে তাদের প্রতিদিনের সকালটা শুরু হয় কাজের সন্ধানে।
এসব এলাকার সচেতন মানুষরা বলছেন, শহরের বাসিন্দাদের মতো এসকল মানুষকে করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য সচেতন করতে হবে। একই সঙ্গে আক্রান্ত হওয়ার আগেই তাদের খাদ্য নিশ্চিত করে চলাফেরা বন্ধ করে দিতে হবে।
চৌহালী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী- যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোল্যা বাবুল আক্তার বলেন, এই সকল নিন্ম আয়ের মানুষ করোনা তো বোঝেই না, স্বাস্থ্য সচেতনও নয়। খেটে খাওয়া মানুষজন জীবিকার তাগিদে কাজে ছুটছেন। এখানে চলাফেরাতেও নেই কোনো সীমাবদ্ধতা। এসব মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করলে করোনা সংক্রমণ রোধে সঙ্গরোধ বা সামাজিক দূরত্বও নিশ্চিত হবে। ঝুঁকিমুক্ত থাকবে গ্রামের মানুষও।
Leave a Reply