চট্টগ্রামে নতুন করে আরো ৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে একজন শিশুও রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষার পর চট্টগ্রামের ৫ জন এবং লক্ষ্মীপুরের একজনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির। সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাটে স্থাপিত বিআইটিআইডি ল্যাবে পরীক্ষা শেষে রাতে এই ফলাফল রোগীর স্বজনদের জানিয়ে দেয়া হয়। এ নিয়ে চট্টগ্রামে ১৪ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে একজন মারা গেছেন। করোনা ভাইরাসের লক্ষণ নিয়ে মারা যাওয়ার পর ওই বৃদ্ধের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিলো। তবে সর্বশেষ রিপোর্টে সাতকানিয়ার দু’জন রয়েছে। মারা যাওয়া বৃদ্ধের বাড়ি ছিলো সাতকানিয়া।
রোববার (১২) রাতে জানানো ফলাফলের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির সময় সংবাদকে বলেন, ‘৯৬ জনের নমুনা থেকে ৬ জনের পজিটিভ হয়েছে। এর মধ্যে একজন লক্ষ্মীপুরের হলেও বাকিদের মধ্যে দু’জন সাতকানিয়ার, একজন পটিয়ার, একজন সীতাকুণ্ড ফৌজদারহাট এবং একজন দামপাড়া পুলিশ লাইন এলাকার।
দামপাড়া পুলিশ লাইন এলাকায় আক্রান্ত ব্যক্তি পুলিশ কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পুলিশ কিনা জানি না। তবে তার বয়স ৫৫ বছর। তার ঠিকানা হিসাবে দামপাড়া পুলিশ লাইন উল্লেখ করা হয়েছে। বাকিদের মধ্যে দু’জন তরুণ এবং যুবক। ’
এর আগে গত ৩ এপ্রিল প্রথমবারের মতো চট্টগ্রামে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিলো। ৬৭ বছরের এই বৃদ্ধ চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরবর্তীতে ৫ই এপ্রিল তার ২৫ বছর বয়সী ছেলের শরীরেও করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। যে কারণে নগরীর দামপাড়া এলাকার ৬টি বাড়ি লগডাউন করে দেয়া হয়েছিলো। ৮ই এপ্রিল আরো ৩ জনের শরীরে এবং ১০ই এপ্রিল দু’জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছিলো। আর ১১ এপ্রিলের পরীক্ষায় সাতকানিয়ার মারা যাওয়া বৃদ্ধসহ দু’জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়।
গত ২৫ মার্চ কিটসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আনার পর ২৬ মার্চ থেকে করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা শুরু করে বিআইটিআইডি। এ পর্যন্ত প্রায় ৬০০ জনের নমুনা সংগ্রহের পর এখানে পরীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে ১৪ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আর গত দু’দিনে চট্টগ্রামে পরীক্ষায় লক্ষ্মীপুরের দু’জনকে করোনা ভাইরাস রোগী হিসাবে শনাক্ত করা হয়।
You cannot copy content of this page