শামীম মিয়া, মির্জাপুর, টাঙ্গাইলঃ
হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণের সময় ওজে কম দেয়ার অপরাধে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ৮ নং ভাতগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ১০ টাকা কেজি দরের চালের ডিলার মোঃ আশরাফুল আলম বাচ্চু(৫৮) ও তার সহকারি একই ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম খানকে(২২) ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবদুল মালেক দেড় লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন।এদিকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে ডিলারের নীতিমালা ও অঙ্গীকার নামার শর্ত লঙ্ঘনের দায়ে তার ডিলারশিপ বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সাব্বীর আহমেদ মুরাদ।
হতদরিদ্র নির্বাচিত পরিবারকে ৩০ কেজি করে চাল সরকার নির্ধারিত(১০টাকা কেজি) মূল্যে সরবরাহে পরিমাণে কম দেয়া হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (১৩ এপ্রিল) তাৎক্ষণিক অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন। এ সময় ভাতগ্রাম ইউনিয়নের দুল্যাবেগম এলাকায় গিয়ে হাতেনাতে প্রমাণও মেলে। প্রতি ৩০ কেজির জায়গায় পরিমাপে দেখা যায় ভুক্ত ভোগীদের জনপ্রতি ২-৩ কেজি চালে কম দেয়া হয়েছে। তবে এর কোনো সঠিক উত্তর দিতে পারেনি চালের ডিলার বাচ্চু।এছাড়াও চাল বিতরণের নিয়ম তোয়াক্কা না করেই অনেকের সুপারিশের ভিত্তিতে অনির্বাচিত কার্ডহীনদের চাল দিয়েছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়।
জানাগেছে,ভাতগ্রাম ইউনিয়নে কার্ডধারী হতদরিদ্রদের মধ্যে ৪২১ জনকে চাল বিতরণের কার্যক্রম হাতে নেয় এই ডিলার। গত সপ্তাহে একই ভাবে চাল বিতরণ করেছেন ২০৫ জনের মাঝে এবং সোমবার ১৪২ জনের মাঝে। যেখানে হেরফের হয় ১৪ বস্তা চাল,যার হিসেব দিতে পারেনি চাল ডিলারের মালিক বাচ্চু।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবদুল মালেক সাংবাদিকদের বলেন,গোপন সংবাদে জানতে পারি যে ডিলার তার মাধ্যমে এই খানে ভুক্ত ভোগীদের চাল পরিমাণে কম দেয়া হচ্ছে এবং সরেজমিনে আমরা এর সত্যতা পাই। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদেরকে অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, উক্তস্থানে দু’একদিনের মধ্যেই নতুন ডিলার নিয়োগ দেওয়া হবে, আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে,চাল নিয়ে দুর্নীতি করলে কাউকেই ছাড় দেয়া হবেনা বলে হুশিয়ারি দেন তিনি।
You cannot copy content of this page