সালাহ্উদ্দিন শুভ, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনায় সারাদেশে লোক সমাগম বন্ধ, গণ-পরিবহন বন্ধ বিভিন্ন এলাকা লকডাউন হলে দুর্ভোগের মাঝে পড়েন খেটে খাওয়া মানুষজন। সরকারি, বেসরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে এসব অসহায় মানুষজনের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। সারাদেশের মতো মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জেও এ উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে।
কমলগঞ্জের শমশেরনগরের যুক্তরাজ্য প্রবাসী এক ব্যক্তি ও নবধারা শমশেরনগরের উদ্যোগে এবার ৫০টি পরিবারে মাসে দুই কিস্তিতে টানা ৩ মাসেসর খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টায় শমশেরনগর ডাকবাংলোয় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শমমেরনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জুয়েল আহমদ ও পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) অরুপ কুমার চৌধুরী।
নবধারা শমশেরনগর সূত্রে জানা যায়, যুক্তরাজ্য প্রবাসী শমশেরনগরের মো. আমিনুল ইসলাম নগদ ২ লাখ ১০ হাজার টাকা সহায়তা দিলে সংগঠনের(নবধারা শমশেরনগর) আরও আর্থিক সহায়তা মিলিয়ে অতি দরিদ্র অসহায় ৫০ পরিবার বাছাই করা হয়। বাছাইকৃত এসব পরিবারে প্রতি ১৫ দিন অন্তর ১১ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ২ কেজি পেঁয়াজ ১ লি: ভোজ্য তেল, ৪ কেজি আলু,১টি সাবান,১টি মাস্ক, কেজি লবনসহ অন্যান্য সামগ্রী প্রদান করা হবে। টানা ৩ মাসে তারা ৬ কিস্তিতে এসব খাদ্য সামগ্রী পাবে। মূল অর্থ সহায়তাকারী প্রবাসী মো. আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, পরবর্তীতে আরও কিছু দরিদ্র অসহায়দেরও এভাবে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে।
নবধারা শমশেরনগরের সমন্বয়ক প্রভাষক আবু সাদাত মো. সায়েম জানান, তাদের সংগঠনের কোন সভাপতি সম্পাদক নেই। প্রতি তিন মাস অন্তর একজন সমন্বয়ক হয়ে থাকেন। তারা সম্মিলিতভাবে স্থানীয় সমাজ উন্নয়ন মূলকসহ আর্থ মানবতার সেবায় স্বেচ্ছা শ্রমে কাজ করেন। আজকের টানা তিন মাসের খাদ্য সহায়তার সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন সংগঠনের সদস্য শামছুল হক (মিন্টু) আব্দুস সামাদ (সামাইল), মাহমুদুর রহমান (আলতা), আব্দুল কাদির (সাজু), মোকরামিন চৌধুরী (মুকুল), সৈয়দ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, শফিউল আলম (উজ্জল) মিজানুল হক ও ইজাজ নিশার (মুন) প্রমুখ।
কমলগঞ্জ ভ্রাম্যমান আদালত ও জরিমানা
সালাহ্উদ্দিন শুভ,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের শমশেরনগরে সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম নাসরিন চৌধুরীর নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের যৌথ উপস্থিতিতে বিশেষ অভিযানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে একটি আইসক্রীম কারখানা ও একই এলাকায় একটি করাতকল (স’মিল) চালানোর দায়ে কারাখানা ও করাতকল মালিকে নগদ ১০ হাজার টাকা জরিমা করা হয়।
সোমবার(১৩এপ্রিল)বেলা ২টায় শমশেরনগর বিমানন্দর সড়কে এ অভিযান চলে। কমলগঞ্জ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম নাসরিন চৌধুরী ভ্রাম্যমান আদারত পরিচালনা করে জরিমানা করে তা আদয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ সময়ে কোনভাবে আইসক্রীম কারখানা ও করাতকল চালু রাখা ঠিক নয়। তাছাড়া আইসক্রীম কারখানাও করাতকল একই সীমানা প্রাচীরের মধ্যে রয়েছে।
You cannot copy content of this page