মহামারী করোনা ভাইরাসে কারণে টালমাটাল বিশ্ব। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা খুঁজে দেখছেন কিভাবে নিরাময় করা যায়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এর ভ্যাকসিন আসতে এখনো দেরি। তবে কিছু কিছু ওষুধে করোনা ভাইরাসকে প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে বলে তারা জানিয়েছেন। এর মধ্যে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন করোনা ভাইরাসে মোকাবিলায় ম্যালেরিয়ায় ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন কার্যকর। তবে এই ওষুধ নিয়ে আশা ভঙ্গ হয়েছে ফ্রান্সের সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনায়। ফ্রান্সের দাবি, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের পরীক্ষামূলক ব্যবহারের পর কমপক্ষে ১০০ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চারজনের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতে, ম্যালেরিয়ায় ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন বর্তমানে সবথেকে বড় ‘গেম চেঞ্জার’। তাঁর পরামর্শে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ করোনার ওষুধ হিসেবে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহার করা শুরু করেছে।
আমেরিকাও প্রায় তিন কোটি হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন মজুত করেছে। পাল্টা ফ্রান্স দাবি করছে, মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহারে সফলতার কোনও প্রমাণ মেলেনি। তাই এই ওষুধ ব্যবহার বিপজ্জনক হতে পারে। ২৭ মার্চ থেকে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহারের পর কমপক্ষে ১০০ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
ফ্রান্সের ন্যাশনাল ড্রাগ সেফটি এজেন্সি এএনএসএমের দাবি, ম্যালেরিয়ার ওষুধ করোনার বিরুদ্ধে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহারে সফলতা আসেনি। বরং হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন প্রয়োগের পর ১০০ জন করোনা রোগী আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনজন অবশ্য সুস্থ হয়েছেন।
ওই এজেন্সির পরামর্শ, করোনা বিরুদ্ধে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের প্রয়োগ হাসপাতালে চিকিৎসকদের পরামর্শে করতে হবে। ওষুধটি কিনে বাড়িতে পরীক্ষামূলকভাবে খেলে ফল মারাত্মক হতে পারে। হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন যে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কার্যকরী হতে পারে তা প্রথম দাবি করেন ফ্রান্সের গবেষক দিদিয়ের রাউল্ট। যদিও তাঁর গবেষণার ধরন নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
You cannot copy content of this page