।।ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।।
মুছে যাক গ্লানি ঘুচে যাক জরা
অগ্নি স্নানে শুচি হোক ধরা
শুভ নববর্ষ ১৪২৭
আজ পহেলা বৈশাখ, জীর্ণ-পুরাতনকে পেছনে ফেলে সম্ভাবনার নতুন বছরের আগমন। এবছর বৈশাখ বাঙ্গালি জীবনে ভিন্নভাবে আসলেও শত আনন্দে বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিয়েছে বাঙ্গালিরা। এ প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সৌন্দর্য বিষয়ক গবেষক ও লেখক এ.কে.এস অনিমিথ বলেন-
” বৈশাখ মানেই বাঙালীর চিরন্তন ঐতিহ্যে অবগাহন করার দিন,সকল পুরাতন পঙ্কিলতা-বিরহ-যাতনা মুছে নতুন স্বপ্ন রচনা করার দিন।বৈশাখ মানেই অহংকার,চেতনা জাগ্রত, মুক্ত আকাশের নিচে আনন্দমেলা এবং নব আমেজের রোমান্ঞিত শিহরণের দিন। কর্মব্যস্ত বাঙালী জীবনের এক ঘেঁয়েমি দুর করে খুশির স্রোতে ভাসিয়ে নেবার দিন। কিন্তু কোভিড ১৯ সব লন্ডভন্ড করে দিল এবারের বৈশাখ। এবারের বৈশাখ সকল বালা-মুছিবত,রোগ-শোক, ব্যথা-যাতনা ধুয়ে মুছে হয়ে উঠবে আপন মহিমায় ভাস্বর।”
তাছাড়া, এ.কে.এস অনিমিথ সারা বিশ্বের সকল বাঙালীদেরকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান, এবং ঘরে থাকার আহ্ববান জানান। বৈশাখের এই গরম-ঠান্ডার সন্ধিক্ষণে ভাইরাস জ্বর খুবই কমন সমস্যা। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি ৫ টি ঘরোয়া উপায়ের কথা জানান। হুবুহ তা নিম্নে তুলে ধরা হলো –
উপায় ১ – এক চামচ ধনিয়া ১ গ্লাস পানিতে জ্বাল দিয়ে, স্বাভাবিক তাপমাএায় এনে দুধ ও চিনি মিশিয়ে খেতে হবে।
উপায় ২ – এক গ্লাস পানিতে ২ চামচ মেথিগুড়ো সারারাত ভিজিয়ে সকালে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে খেতে হবে।
উপায় ৩ -খাঁটি মধুর সাথে রসুন বাটা/কুচি খান দিনে ২/৩ বার।
উপায় ৪ – আদা বাটা/কুচি দিয়ে পানি গরম করুন, এরপর লেবু ও মধু মিশিয়ে খান দিনে ২ বার করে।
উপায় ৫ – তুলসী পাতা ফুটিয়ে সেই পানি দিনে ৩/৪ বার করে খান।
অস্বাভাবিক জ্বর বা অন্য সমস্যা দেখা দিলে দেরি না করে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হবার কথাও তিনি বিশেষ ভাবে উল্লেখ করেন।
Leave a Reply