স্টাফরিপোর্টারঃবর্তমান সরকার তার অঙ্গীকার সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য সমাজের হতদরিদ্র ও সুবিধাধা বঞ্চিত মানুষের তালিকা প্রস্তুত করে যখন ডিলারের মাধ্যমে বর্তমান লগডাউনের সময়ে ফেয়ার প্রাইজের ১০টাকা কেজি মুল্যের চাল সরবরাহ করছেন ঠিক সেই মুহুর্তে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের ডিলার আব্দুল হালিম সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ১নং ওয়ার্ডের মেম্বর শাহ আলমের সাথে যোগসাজস করে একই ব্যক্তির নামে একাধিক কার্ড বরাদ্দ ও একই ব্যক্তির ছবি একাধিক কার্ডে ব্যবহার করে ১০ টাকা কেজি মুল্যের ফেয়ার প্রাইজের চাল উত্তোলন করে আত্নসাত করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগে জানাযায়,বর্তমান সরকার নির্বাচনী অঙ্গীকার করেছিলেন ১০ টাকা কেজি করে চাল খাওয়াবেন,সরকারের সেই অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে বর্তমান লগডাউনের সময় সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নে ১০টাকা কেজি মুল্যের চাল বিতরণের স্বার্থে চাযাই বাছাই করে তালিকা প্রস্তুত করা হয় এবং তালিকা অনুযায়ী কার্ডধারীদের মধ্যে চাল বিতরণের জন্য একাধিক ডিলার নিয়োগ করা হয়। তবে সরকারের শর্ত রয়েছে অত্যন্ত স্বচ্ছতার সাথে প্রস্তুতকৃত তালিকা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কার্ডধারীদের মধ্যে চাল বিতরণ করতে হবে। এতে কোনক্রমেই একাধিক ব্যক্তির নামে একাধিক কার্ড,বা একই ব্যক্তি একাধিক নাম ব্যবহার করে পিতা অথবা স্বামীর একই নাম ব্যবহার করে একাধিক কার্ড গ্রহণ করা যাবেনা অথবা একই ব্যক্তির ছবি একাধিক কার্ডে ব্যবহারও করা যাবেনা। অথচ ডিলার আব্দুল হালিম ও ইউপি সদস্য শাহ আলম সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে সমন্বয় করে এধরনের অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েছেন। অভিযোগ রয়েছে তারা একাধিক ব্যক্তির নামে একাধিক কার্ড বরাদ্দ দিয়ে পরস্পর যোগসাজসে চাল উত্তোলন করে আত্নসাত করছেন। অনুসন্ধানে সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়,আয়শা,স্বামী খলিল,কার্ড নং- ১৬১৭,হনুফা,স্বামী খলিল,কার্ড নং-১৬৮৯ ,উভয় গ্রাম বাঐতারা,ওয়ার্ড নং-১,এ দুটি কার্ডে
একই ব্যক্তির ছবি রয়েছে। অপরদিকে ফুলমালা,স্বামী রমজান,কার্ড নং-১৬১৮ ও ছখিনা,স্বামী আলহাজ,কার্ড নং-১৭২৩ , উভয় গ্রাম বাঐতারা,ওয়ার্ড নং-১,এ দুটি কর্ডেও একই ব্যক্তির ছবি রয়েছে। এভাবে একাধিক ব্যক্তির নামে একাধিক কার্ড বরাদ্দ করা হয়েছে এবং ভুয়া কার্ডও বরাদ্দ করা হয়েছে অসংখ্য। আর এসকল কার্ড রয়েছে ডিলার আব্দুল হালিমের নিয়ন্ত্রণে । এদিকে এ গোপন বিষয়টি অনেকে জানলেও তাদের ভয়ে তারা প্রতিবাদ করতে ও মুখ খুলতে সাহস পায়না। যারা প্রতিবাদ করতে আসে তখন তাদেরকে দেখানো হয় ডিলার আব্দুল হালিমের পক্ষ থেকে নানাভাবে ভয়ভীতি। ফলে গোপন বিষয়টি ধামাচাপাই রয়ে যায়। এদিকে সমাজের সুবিধা বঞ্চিত মানুষ ঘটনাটি তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট ডিলারসহ যারা এর সাথে জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত পুর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও দুদকের উপ-পরিচালকের নিকট জোর দাবী জানিয়েছে। এব্যাপারে ফেয়ার প্রাইজের ডিলার আব্দুল হালিমের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,চেয়ারম্যান নবীদুলের সাথে কথা না বলে এব্যাপারে আমি কোন মন্তব্য বা কোন বক্তব্যই দিতে পারবো না,তবে যদি এব্যাপারে কোন বক্তব্য দিতে হয় তাহলে তার সাথে কথা বলে আপনাকে পরে বক্তব্য দেব।
Leave a Reply