ভোলা প্রতিনিধি মোঃ ছিদ্দিক সারা দেশে করোনা প্রকোপ যখন দিন দিন বাড়ছে তখন ভোলায় করোনা রোগি সনাক্ত না হওয়ার খবরে নদী বেষ্টিত এ জনপদে কিছুটা স্বস্তি বিরাজ করছে। তবে গত কয়েকদিন ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বহু মানুষের বাড়ি ফেরা নিয়ে জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ পর্যন্ত ভোলার সাত উপজেলায় হোম কোয়ারেন্টিন শেষ হয়েছে ৪৬২ জনের। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছে ২৯৮ জন। জেলায় মোট কোয়ারিন্টিনে রখা হয়েছিলো ৭৬০ জনকে। করোনা ভাইরাস সন্দেহে গত ১৬দিনে জেলার সাত উপজেলা থেকে ১৭৫টি নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয় এখন পর্যন্ত নমুনার রিপোর্ট এসেছে ১১৯টির। যারসবগুলো নেগেটিভ বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় ৫৬ জনসহ জেলায় ২৯৮ জনকে হোম হোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এছাড়া গত এক মাসে জেলায় মোট হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিলো ৭০০ জনকে। আইসোলেশনে ছিলো ৪জন। যাদের মধ্যে ৩ জন সুস্থ্য হয়ে ফিরে গেছেন।
এদিকে করোনার সংক্রম রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। গুরুত্ব স্থান গুলোতে নৌবাহিনী টহল বাড়িয়ে দিয়েছে। পুলিশ সদস্যরাও বিভিন্ন অলিগলিতে ঢুকে চা বিক্রি করা দোকানপাট বন্ধ করে দিচ্ছেন। আজ বৃহসপতিবার (১৬ এপ্রিল) ভোলার দৌলতখান উপজেলায় নৌবাহিনী সহ উপজেলা নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ১২০০০ জরিমানা করেছেন বাংলাবাজার, নুর মিয়ার হাট সহ বিভিন্ন হাট বাজারে। বাংলাবাজারে দায়ীত্বরত এ এস আই মারুফ আহাম্মেদ জনান সামাজিক দূরত্ব না মানায় কয়েকটি রিক্সা আটক করা হয় পরে তাদেরকে মুচলেকা ও সতর্ক করে ছেড়ে দওয়া হয়। তিনি আরো জানান “স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ এর বিপরীতের পাঁকা রাস্তার ভিতরে, আলম মেম্বারের স্কুলের সামনের দোকান, শিপন মেম্বারের বাড়ির সামের দোকান, আজিমবাড়ি হাওলা মাদ্রাসার সামনের দোকান গুলো সন্ধ্যার পরও প্রচুর লোকের আড্ডাস্থল ভেঙ্গে দিয়েছি। চা বিক্রেতাদের কঠোর হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।”
এদিকে ভোলা জেলা প্রশাসক সকল উপজেলায় বাসায় বাসায় খাদ্য পৌছে দিতে হট লাইন চালু করেছেন।
Leave a Reply