করোনা আতঙ্কের এই সময়টাতে যে জিনিসটি এড়িয়ে চলতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বসহকারে বলা হচ্ছে, তা হলো ‘জনসমাগম’।
(হোক নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির বাজার, চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট যায়গা, কিংবা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।)
যেখানে সচেতন মহল- সরকারি, এবং চিকিৎসা ও ধর্মসম্মত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ঘরবন্দী জীবন যাপন করছেন, সেখানে একদল মানুষ ঐসকল স্থলে (যেখানে লোকসমাগম সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে চলা উচিৎ) ভিড় জমাচ্ছেন, আইনশৃংখলা বাহিনীর লোকের সাথে ইদুর-বিড়াল খেলছেন, ধর্মীয় অপব্যাখ্যা দিচ্ছেন, সরকারকে গালাগাল করছেন।
কার ভালোর জন্য এতকিছু করছে প্রশাসন!
ধর্ম নিয়েই অধিকাংশের মাথাব্যথা, বলছি ভাই – “ঈশ্বর আপনার একার না, আপনি একাই ধার্মিক নন”
বিশ্বের এ মহামারির সময়, আপনার পাশের জনকে বাঁচানো সহ আপনার নিজেকে বাঁচানোর দ্বায়িত্ব আপনার।
আপনি কি নিশ্চিত, আপনার কোভিড ১৯ পজেটিভ না? কিংবা পজেটিভ হবে না!
ধরুন, আগে থেকে সতর্ক করা সত্তেও আপনি সচেতন হলেন না, আপনার থেকে আরেকজনের শরীরে আপনি ভাইরাসটি দিলেন! ( জানা থাকা সত্তেও) আপনি কি আপনার স্রষ্টার নিকট গুনাহগার হবেন না!
নাকি, সংক্রমিত হয়ে আত্মহত্যাকারীদের দলে সামিল হবেন!
এই আপনাদের মতো মানুষের জন্যেই কতিপয় মানুষ ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পায়, অথবা ইসলাম বিদ্বেষী হয়, কিংবা জঙ্গিবাদী দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখে।
কুরআন পড়ুন, হাদিসের সঠিক প্রয়োগবিধি ও মাসায়েল জানুন।
আমরা যেনো ধার্মিক হতে গিয়ে ধর্মান্ধ না হয়ে যাই!
লেখকঃ সোহানুর রহমান (সুমন)
শিক্ষার্থী, সরকারি তিতুমীর কলেজ, ঢাকা
Leave a Reply