কিশোরগঞ্জে যেন রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে চীনের প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। জেলার ১৩টি উপজেলার মধ্যে ভৈরব, অষ্টগ্রাম ও হোসেনপুর এই তিন উপজেলাতেই গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ২৩ জনের করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ পজেটিভ ধরা পড়েছে। এর আগে শনিবার (১৭ এপ্রিল) পর্যন্ত জেলায় ১৯ চিকিৎসকসহ মোট ৭৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
রোববার (১৯ এপ্রিল) নতুন করে তিন উপজেলার ২৩ জন শনাক্ত হওয়ায় এই ভাইরাসে কিশোরগঞ্জ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে এখন ৯৮ জনে দাঁড়িয়েছে। মোট শনাক্ত হওয়া ৯৮ জনের মধ্যে একজন মারা যাওয়া ব্যক্তি রয়েছেন। তিনি করিমগঞ্জ উপজেলার জঙ্গলবাড়ি মুসলিমপাড়া গ্রামের সেলিম মিয়া।
রোববার (১৯ এপ্রিল) রাত সোয়া ১০টার দিকে কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান জানান, কিশোরগঞ্জ জেলা থেকে শনিবার (১৮ এপ্রিল) ১২৫ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য মহাখালীর ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ (আইপিএইচ) এ পাঠানো হয়েছিল। তাদের মধ্যে পুরনো কোভিড-১৯ পজেটিভ তিনজন রয়েছেন।
তবে মোট ৪০টি নমুনার পরীক্ষার রিপোর্ট ঢাকা থেকে পাঠানো হয়েছে। বাকি ৮৫টি নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আজ (রোববার, ১৯ এপ্রিল) আসেনি।
রিপোর্ট পাওয়া তিন উপজেলা হোসেনপুর, ভৈরব ও অষ্টগ্রামের মোট ৪০ জনের নমুনার মধ্যে মোট ২৩ জনের কোভিড-১৯ পজেটিভ এসেছে। বাকি ১৭ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
নতুন করোনা শনাক্ত হওয়া ২৩ জনের মধ্যে হোসেনপুর উপজেলার ১ জন, ভৈরব উপজেলায় ২০ জন ও অষ্টগ্রাম উপজেলায় ২ জন রয়েছেন।
শনিবার (১৮ এপ্রিল) পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ৭ জন, হোসেনপুর উপজেলার ৩ জন, করিমগঞ্জ উপজেলায় ১৬ জন, তাড়াইল উপজেলায় ১১ জন, পাকুন্দিয়ায় উপজেলায় ৩ জন, কটিয়াদী উপজেলায় ২ জন, কুলিয়ারচর উপজেলায় ৬ জন, ভৈরব উপজেলায় ১৫ জন, নিকলী উপজেলায় ১ জন, বাজিতপুর উপজেলায় ২ জন, ইটনা উপজেলায় ৫ জন, মিঠামইন উপজেলায় ৩ জন ও অষ্টগ্রাম উপজেলায় ১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
রোববার (১৯ এপ্রিল) তিন উপজেলার নতুন সনাক্ত হওয়ার পর এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ৭ জন, হোসেনপুর উপজেলার ৪ জন, করিমগঞ্জ উপজেলায় ১৬ জন, তাড়াইল উপজেলায় ১১ জন, পাকুন্দিয়ায় উপজেলায় ৩ জন, কটিয়াদী উপজেলায় ২ জন, কুলিয়ারচর উপজেলায় ৬ জন, ভৈরব উপজেলায় ৩৫ জন, নিকলী উপজেলায় ১ জন, বাজিতপুর উপজেলায় ২ জন, ইটনা উপজেলায় ৫ জন, মিঠামইন উপজেলায় ৩ জন ও অষ্টগ্রাম উপজেলায় ৩ জন।
গত ৬ এপ্রিল মারা যাওয়া করিমগঞ্জ উপজেলার জঙ্গলবাড়ি মুসলিমপাড়া গ্রামের সেলিম মিয়া ছিলেন জেলার প্রথম করোনা আক্রান্ত। মারা যাওয়া ওই ব্যক্তি গত ৯ এপ্রিল জেলায় প্রথম করোনা শনাক্ত হওয়ার পর জেলায় করোনার বিস্তার শুরু হয়।
মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে রোববার (১৯ এপ্রিল) আংশিক পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৮ জনে।
ডা. মো. মুজিবুর রহমান জানান, রোববার (১৯ এপ্রিল) নতুন করে ১০১ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য মহাখালীর ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ (আইপিএইচ) এ পাঠানো হয়েছে।
You cannot copy content of this page