1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম
বেকারি কারখানায় বিএসটিআইয়ের অভিযানে ১০ হাজার টাকা জরিমানা বিএসটিআই’র অভিযানে ব্যাটারি পানি কারখানায় জরিমানা ও সিলগালা রাবি আন্ত:বিভাগ ফুটবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন মনোবিজ্ঞান ঠাকুরগাঁওয়ে বিনামূল্যে মেডিকেল সেবা পেলেন ২শতাধিক মানুষ রাজশাহী বরেন্দ্র কলেজে বিজয় দিবস পালিত ভূল্লী থানা পুলিশের আয়োজনে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে জিংক ধানের সম্প্রসারণে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও বীজ বিতরণ ঠাকুরগাঁওয়ে বড়গাঁওয়ে জিংক ধানের সম্প্রসারণে অগ্রণী কৃষক প্রশিক্ষণ ও বীজ বিতরণ ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে জিংক ধানের সম্প্রসারণে অগ্রণী কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও বীজ বিতরণ ঠাকুরগাঁওয়ের জগন্নাথপুরে জিংক ধানের সম্প্রসারণে অগ্রণী কৃষক প্রশিক্ষণ ও বীজ বিতরণ

কিশোরগঞ্জে করোনার ভয়াবহ বিস্তার, একদিনেই ৬৭, আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে ১৪১

সংবাদ দাতার নাম
  • সময় : সোমবার, ২০ এপ্রিল, ২০২০
  • ৯৩৮ জন পড়েছেন

স্টাফ রিপোর্টার, কিশোরগঞ্জ:

কিশোরগঞ্জে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ভয়াল থাবায় আক্রান্তের সংখ্যা তিন অঙ্ক ছাড়িয়েছে। জেলায় একদিনেই নতুন করে ৬৭ জনের করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ পজেটিভ ধরা পড়েছে। এর আগে শনিবার (১৮ এপ্রিল) পর্যন্ত জেলায় ১৯ চিকিৎসকসহ মোট ৭৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।

রোববার (১৯ এপ্রিল) নতুন করে ৬৭ জন শনাক্ত হওয়ায় এই ভাইরাসে কিশোরগঞ্জ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে এখন ১৪১ জনে দাঁড়িয়েছে। মোট শনাক্ত হওয়া ১৪১ জনের মধ্যে এক শিশুসহ দুইজন মারা যাওয়া ব্যক্তি রয়েছেন। এর মধ্যে একজন করিমগঞ্জ উপজেলার জঙ্গলবাড়ি মুসলিমপাড়া গ্রামের সেলিম মিয়া (৪৬) এবং অপরজন হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের দক্ষিন পানান গ্রামের ১০ বছর বয়সী শিশু মিজান।

গত ৬ এপ্রিল মারা যাওয়া করিমগঞ্জ উপজেলার জঙ্গলবাড়ি মুসলিমপাড়া গ্রামের সেলিম মিয়া ছিলেন জেলার প্রথম করোনা আক্রান্ত। মারা যাওয়া ওই ব্যক্তি গত ৯ এপ্রিল জেলায় প্রথম করোনা শনাক্ত হওয়ার পর জেলায় করোনার বিস্তার শুরু হয়।

পরদিন ১০ এপ্রিল নতুন করে আরো ৬ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। তাদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ২ জন, ইটনা উপজেলার ২ জন, ভৈরব উপজেলার ১ জন ও পাকুন্দিয়া উপজেলার ১ জন। আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৭ জনে।

১১ এপ্রিল করিমগঞ্জ উপজেলার মারা যাওয়া সেলিম মিয়ার পরিবারের তিন সদস্য এবং হোসেনপুর উপজেলায় ঢাকা থেকে আসা এক ব্যক্তি করোনা শনাক্ত হন। এই চারজন শনাক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছে কিশোরগঞ্জে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ১১ জনে।

১২ এপ্রিল কিশোরগঞ্জ জেলা থেকে নতুন করে কোন করোনা শনাক্ত না হলেও পরদিন ১৩ এপ্রিল দুই চিকিৎসকসহ চারজনের করোনা শনাক্ত হয়। এই চারজনের মধ্যে করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুইজন চিকিৎসক, পাকুন্দিয়া উপজেলার একজন ও ভৈরব উপজেলার একজন রয়েছেন। এদিন আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৫ জনে।

১৪ এপ্রিল কিশোরগঞ্জ জেলায় নতুন করে এক চিকিৎসকসহ তিনজনের করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ পজেটিভ ধরা পড়ে। এই তিনজনের মধ্যে একজন চিকিৎসকসহ করিমগঞ্জ উপজেলার দুইজন ও ভৈরব উপজেলার একজন রয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় চার চিকিৎসকসহ কিশোরগঞ্জে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৮ জনে।

১৫ এপ্রিল কিশোরগঞ্জ জেলায় নতুন করে পাঁচজনের করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ পজেটিভ ধরা পড়ে। এই পাঁচজনের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার দুইজন, তাড়াইল উপজেলার দুইজন  ও কুলিয়ারচর উপজেলার একজন রয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৩ জনে।

এই ২৩ জন থেকে ১৬ এপ্রিল এক লাফে কিশোরগঞ্জ জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৪ জনে। এদিন (১৬ এপ্রিল) নতুন করে ১১ জনের করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ পজেটিভ ধরা পড়ে। এই ১১ জনের মধ্যে ইটনা উপজেলার তিনজন, ভৈরব উপজেলার দুইজন, তাড়াইল উপজেলার দুইজন, কুলিয়ারচর উপজেলার দুইজন, পাকুন্দিয়া উপজেলার একজন ও কটিয়াদী উপজেলার একজন রয়েছেন।

১৭ এপ্রিল কিশোরগঞ্জ জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়ে ৫২-তে পৌঁছে। এদিন (১৭ এপ্রিল) ৪ চিকিৎসকসহ ১৮ জনের করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ পজেটিভ ধরা পড়ে। নতুন করোনা শনাক্ত হওয়া ১৮ জনের মধ্যে বাজিতপুর উপজেলার দুইজন, মিঠামইন উপজেলার তিনজন, ভৈরব উপজেলার পাঁচজন, তাড়াইল উপজেলার দুইজন, কুলিয়ারচর উপজেলার তিনজন, অষ্টগ্রাম উপজেলার একজন, নিকলী উপজেলার একজন ও কটিয়াদী উপজেলার একজন রয়েছেন।

এর মধ্যে বাজিতপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন করে চিকিৎসক এই তালিকায় রয়েছেন। এর আগের দিন ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত জেলায় সাত চিকিৎসকসহ মোট ৩৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।

৫২ থেকে তিন অঙ্কের ঘর পৌঁছাতে সময় লাগে মাত্র দুইদিন। ১৮ এপ্রিল নতুন করে করোনা শনাক্ত হন ২২ জন। এদিন (১৮ এপ্রিল) নতুন করোনা শনাক্ত হওয়া ২২ জনের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ৩ জন, হোসেনপুর উপজেলার ১ জন, করিমগঞ্জ উপজেলায় ৮ জন, তাড়াইল উপজেলায় ৫ জন ও ভৈরব উপজেলায় ৫ জন রয়েছেন।

এই আক্রান্তের তালিকায় রয়েছেন ভৈরবের উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিমাদ্রী খীসা, ৮জন চিকিৎসক, একজন নার্স ও ৮জন স্বাস্থ্যকর্মী। অর্থাৎ একদিনে করোনা আক্রান্ত ২২ জনের মধ্যে ১৭ জনই স্বাস্থ্যবিভাগের।

ফলে শনিবার (১৮ এপ্রিল) কিশোরগঞ্জ জেলায় মোট ৭৪ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর মধ্যে চিকিৎসকই রয়েছেন ১৯ জন। রয়েছেন একজন এসআই সহ পুলিশের পাঁচজন সদস্য। এছাড়া তিনজন নার্স ও ব্রাদার এবং ৯ জন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন।

রোববার (১৯ এপ্রিল) ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ভৈরব, অষ্টগ্রাম ও হোসেনপুর এই তিন উপজেলার ২৩ জনের করোনা শনাক্ত হওয়ায় ৭৪ থেকে কিশোরগঞ্জ জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৯৭ জনে।

এছাড়া অপেক্ষমাণ নমুনা থেকে পরবর্তিতে আরো ৪৪ জনের করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ পজেটিভ ধরা পড়ে। ফলে একদিনেই কিশোরগঞ্জ জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৬৭ জন। সবমিলিয়ে জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্য্ এখন দাঁড়িয়েছে ১৪১ জনে।

কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান প্রদত্ত এই পরিসংখ্যানের বাইরে হোসেনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মহি উদ্দিন হোসেনপুর উপজেলায় আরো একজনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন। সেটি যোগ করলে কিশোরগঞ্জ জেলায় এখন করোনাভাইরাস আক্রান্তের মোট সংখ্যা ১৪২ জন।

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

You cannot copy content of this page