কিশোরগঞ্জের মানুষ কিশোর থেকে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।তিনি আজ সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে টেলি কনফারেন্সে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযুদ্ধা এ্যাভোকেট জিল্লুর রহমানের সাথে কথা বলার পর এ মন্তব্য করেন।তিনি দ্রুত হাওরে আধুনিক রাইস মিল, কোল্ড ষ্টোরেজ মাছ সংরক্ষনের জন্য স্থাপনের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি আর যেন করোনায় আক্রান্ত মানুষ হয়ে না পরে সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য জেলা প্রশাসক মো. সারায়ার মোর্শেদ চৌধুরী কে নির্দেশ প্রদান করেন ।তিনি কোন রাজনৈতিক নেতার সাথে কথা না বলে একজন ইমামের সাথে শোলাকিয়া মাঠ নিয়ে কথা বলে কিশোরগঞ্জের সাথে টেলিকনফারেন্স শেষ করেন ।
চলতি মৌসুমে ধান, চাল, গমসহ মোট ২১ লাখ মেট্রিকটন খাদ্য সংগ্রহ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বক্তৃতায় সংশ্লিষ্টদের এই তথ্য জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ইতিমধ্যে খাদ্যশস্য সংগ্রহ করা শুরু করে দিয়েছি। আগে আমরা যে পরিমাণ বোরো সংগ্রহ করতাম এবার তার চেয়ে অনেক বেশি সংগ্রহ করছি। এবার আমরা প্রায় আট লাখ মেট্রিকটন ধান, ১০ লাখ মেট্রিকটন চাল, দুই লাখ ২০ হাজার মেট্রিকটন আতপ, ৮০ হাজার মেট্রিকটন গমসহ ২১ লাখ মেট্রিকটন খাদ্য আমরা সংগ্রহ করব।
কৃষকদের প্রণোদনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রায় ২০০ কোটি টাকা আমরা রেখেছি। এখান থেকে কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে কৃষি খাতে। ধান উৎপাদন মাড়াই- এসব কাজে যেসব যন্ত্র দরকার সেগুলো যাতে তারা কিনতে পারে সেই ব্যবস্থা আমরা করেছি।
কৃষকদের সুবিধা-অসুবিধা দেখার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে এখন যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ। কিন্তু ধান কাটার জন্য কৃষকদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে হবে। তাই তারা যাতে প্রয়োজনমতো জমিতে যেতে পারে তার জন্য আইনশৃঙ্খলা রাক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, দেশের এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদী না থাকে তার ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামনে রোজা। রোজায় যেন মানুষের কষ্ট না হয়। তার জন্য ১০ টাকায় চালসহ নানা কর্মসূচি আমরা বাস্তবায়ন করছি। ইনশাল্লাহ খ্যদ্যের কোনো অভাব হবে না। আপনারা ফলমূল, শাকসবজি, শস্য বেশি করে উৎপাদন করবেন। আগামী তিন বছরের জন্য যেন আমাদের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব না পড়ে তার ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা কৃষি খাতে পাঁচ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করে দিয়েছি। সেখান থেকে মাত্র পাঁচ শতাংশ হার সুদে কৃষকরা ঋণ নিতে পারবে। এ ছাড়া ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী, পোলট্রি ব্যবসায়ী, মৎস্যজীবীসহ সবার কথা চিন্তা করে প্রণোদনা ঘোষণা করেছি যাতে অর্থনীতি সচল থাকে।
Leave a Reply