স্টাফ রিপোর্টার, কিশোরগঞ্জ:
কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুরে কিশোরী গণধ’র্ষণ মামলায় মো. সুমন মিয়া (২৭) নামে এক পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। রোববার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার দিকে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মারিয়া এলাকায় র্যাব-১৪, সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের একটি টিম অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার হওয়া মো. সুমন মিয়া কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মারিয়া বিসিক সংলগ্ন এলাকার মো. শাহাব উদ্দিনের ছেলে। সে হোসেনপুর থানায় দায়ের করা কিশোরী গণধ’র্ষণ মামলার এজাহারনামীয় ৪নং আসামি।
র্যাব-১৪, সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক লে. কমান্ডার এম শোভন খান বিএন এই গ্রেপ্তার অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
পুলিশ, র্যাব ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হোসেনপুর উপজেলার সাহেদল এলাকার সেভেন স্টার নামে একটি বেকারীতে কাজ করতো গণধ’র্ষণের শিকার ওই তরুণী। করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবে সম্প্রতি বেকারীটি বন্ধ হয়ে যায়।
এ পরিস্থিতিতে গত শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে বেকারীর কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলম বেকারীতে কাজ আছে বলে কিশোরীকে ডেকে নিয়ে যায়। তার কথামত মেয়েটি গিয়ে বেকারী বন্ধ দেখতে পায়।
রাতে বাড়ি ফেরা নিরাপদ নয়, এমন কথা বলে জাহাঙ্গীর মেয়েটিকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী জিনারী গ্রামে তার পরিচিত তারা মিয়ার বাড়িতে নিয়ে যায়।
পরে সেখান থেকে পাশের একটি জঙ্গলে নিয়ে রাত ২টার দিকে জাহাঙ্গীর আলম, তারা মিয়া, জামান ও সুমন নামে চার যুবক পালাক্রমে মেয়েটিকে ধ’র্ষণ করে।
খবর পেয়ে পুলিশ শনিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে মেয়েটিকে উদ্ধার করে এবং অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত চারজনের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলম (২৮), মো. তারা মিয়া (৩০) ও ফেরদৌস জামান এই তিনজনকে আটক করে। এ সময় অপর অভিযুক্ত সুমন মিয়া পালিয়ে যায়।
এদিকে পালিয়ে যাওয়া অভিযুক্ত সুমন মিয়াকে ধরতে অভিযানে নামে র্যাব। রোববার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার দিকে র্যাব-১৪, সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের একটি টিম কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মারিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
র্যাব-১৪, সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক লে. কমান্ডার এম শোভন খান বিএন জানান, গ্রেপ্তারের পর সুমন মিয়া র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গণধ’র্ষণে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে হোসেনপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
You cannot copy content of this page