কিশোরগঞ্জ জেলায় সর্বশেষ রোববার (১৮ এপ্রিল) নতুন করে ৬৭ জনের করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ পজেটিভ ধরা পড়েছে। এর মধ্যে ৫৮ জনই স্বাস্থ্যবিভাগের। তাদের মধ্যে ২৩ জন চিকিৎসক এবং বাকি ৩৫ নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী। এর বাইরে ৪ জন পুলিশ সদস্য, দুইজন মৃত ব্যক্তি এবং তিনজন সাধারণ রোগী।
রোববার (১৯ এপ্রিল) নতুন করে ৬৭ জন শনাক্ত হওয়ায় এই ভাইরাসে কিশোরগঞ্জ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে এখন ১৪১ জনে দাঁড়িয়েছে। মোট শনাক্ত হওয়া ১৪১ জনের মধ্যে এক শিশুসহ তিনজন মারা যাওয়া ব্যক্তি রয়েছেন।
এর মধ্যে একজন করিমগঞ্জ উপজেলার জঙ্গলবাড়ি মুসলিমপাড়া গ্রামের সেলিম মিয়া (৪৬), আরেকজন কিশোরগঞ্জ শহরের বড়বাজার টেনু সাহার গলি এলাকার নিতাই (৬০) এবং অপরজন হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের দক্ষিন পানান গ্রামের ১০ বছর বয়সী শিশু মিজান।
সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান জানান, কিশোরগঞ্জ জেলা থেকে শনিবার (১৮ এপ্রিল) ১২৫ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। তাদের মধ্যে পুরনো কোভিড-১৯ পজেটিভ তিনজন রয়েছেন।
এর মধ্যে রোববার (১৯ এপ্রিল) রাতে মোট ৪০টি নমুনার পরীক্ষার রিপোর্ট ঢাকা থেকে পাঠানো হয়। রিপোর্ট পাওয়া তিন উপজেলা হোসেনপুর, ভৈরব ও অষ্টগ্রামের মোট ৪০ জনের নমুনার মধ্যে মোট ২৩ জনের কোভিড-১৯ পজেটিভ এবং বাকি ১৭ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
পরবর্তিতে বাকি ৮৫টি নমুনার মধ্যে ৮২টি নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসে। এতে ৪৪ জনের কোভিড-১৯ পজেটিভ এবং বাকি ৩৮ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
অর্থাৎ ১২২টি নমুনার মধ্যে মোট ৬৭ জনের কোভিড-১৯ পজেটিভ এবং বাকি ৫৫ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এই ৬৭ জনের মধ্যে ৪৪ জন পুরুষ ও ২৩ জন মহিলা।
নতুন করোনা শনাক্ত হওয়া ৬৭ জনের মধ্যে হোসেনপুর উপজেলায় ১ জন, ভৈরব উপজেলায় ২০ জন, অষ্টগ্রাম উপজেলায় ২ জন, তাড়াইল উপজেলায় ১০ জন, মিঠামইন উপজেলায় ১৬ জন, কটিয়াদী উপজেলায় ৯ জন, ইটনা উপজেলায় ৬ জন ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩ জন রয়েছেন।
শনিবার (১৮ এপ্রিল) পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ৭ জন, হোসেনপুর উপজেলার ২ জন, করিমগঞ্জ উপজেলায় ১৬ জন, তাড়াইল উপজেলায় ১১ জন, পাকুন্দিয়ায় উপজেলায় ৩ জন, কটিয়াদী উপজেলায় ২ জন, কুলিয়ারচর উপজেলায় ৬ জন, ভৈরব উপজেলায় ১৫ জন, নিকলী উপজেলায় ১ জন, বাজিতপুর উপজেলায় ২ জন, ইটনা উপজেলায় ৫ জন, মিঠামইন উপজেলায় ৩ জন ও অষ্টগ্রাম উপজেলায় ১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
নতুন করে ৬৭ জন সনাক্ত হওয়ার পর এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ১০ জন, হোসেনপুর উপজেলার ৩ জন, করিমগঞ্জ উপজেলায় ১৬ জন, তাড়াইল উপজেলায় ২১ জন, পাকুন্দিয়ায় উপজেলায় ৩ জন, কটিয়াদী উপজেলায় ১১ জন, কুলিয়ারচর উপজেলায় ৬ জন, ভৈরব উপজেলায় ৩৫ জন, নিকলী উপজেলায় ১ জন, বাজিতপুর উপজেলায় ২ জন, ইটনা উপজেলায় ১১ জন, মিঠামইন উপজেলায় ১৯ জন ও অষ্টগ্রাম উপজেলায় ৩ জন।
এর আগে শনিবার (১৮ এপ্রিল) পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ জেলায় করোনা শনাক্ত হওয়া মোট ৭৪ জনের মধ্যে ৩১ জন স্বাস্থ্যবিভাগের ছিলেন। এরমধ্যে চিকিৎসকই রয়েছেন ১৯ জন। এছাড়া তিনজন নার্স ও ব্রাদার এবং ৯ জন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন।
নতুন করে ২৩ জন চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যবিভাগের মোট ৫৮ জন করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৯ জনে।
নতুন সনাক্ত হওয়াদের মধ্যে উপজেলাওয়ারী পরিসংখ্যানে ভৈরব উপজেলার ২০ জনের মধ্যে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৬ জন চিকিৎসক এবং ১০ জন নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে মোট ১৬জন।
তাড়াইল উপজেলায় ১০ জনের মধ্যে একজন চিকিৎসকসহ ১০ জনই তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী।
মিঠামইন উপজেলায় ১৬ জনের মধ্যে ৬জন চিকিৎসকসহ ১৫ জনই মিঠামইন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যকর্মী।
কটিয়াদী উপজেলায় ৯ জনের মধ্যে ৭ জন চিকিৎসকসহ ৯ জনই কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যকর্মী।
ইটনা উপজেলায় ৬ জনের মধ্যে দুইজন চিকিৎসকসহ ৬ জনই ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যকর্মী।
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩ জনের মধ্যে মারা যাওয়া এক ব্যক্তি ছাড়া বাকি দুইজনের মধ্যে একজন কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ও একজন সিনিয়র স্টাফ নার্স রয়েছেন।
You cannot copy content of this page