ঢাবি প্রতিনিধিঃ মহামারী কভিড-১৯ সংক্রমণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যদি দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার প্রয়োজন হয়, তবে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে সাময়িকভাবে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
গত সোমবার সকালে উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান তার বাসভবন থেকে ডিনদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
[caption id="attachment_6370" align="alignnone" width="480"] প্রেস বিজ্ঞপ্তি[/caption]
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ এবং উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ এ সভায় সংযুক্ত ছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম যাতে ব্যাহত না হয়, সে বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ ও কর্মপরিকল্পনা ঠিক করতে ভার্চুয়াল সভা করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এতে আরো জানানো হয়, গ্রীষ্মকালীন ছুটি শেষে যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করা যায় তবে শিক্ষকবৃন্দ সংশ্লিষ্ট সেমিস্টার/বার্ষিক পদ্ধতির কোর্সসমূহের অতিরিক্ত ক্লাস ও ব্যবহারিক পরীক্ষা গ্রহণ করে এই অনির্ধারিত ছুটির কারণে সৃষ্ট ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে। তবে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসসমূহ দীর্ঘসময় বন্ধ রাখার প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে সাময়িকভাবে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করার বিষয়টি সভায় আলোচিত হয়। সেই সম্ভাব্যতাকে মাথায় রেখে সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো ও প্রযুক্তিগত বিষয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পরিচিত করার প্রয়োজনীতার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ বিষয়ে ডিনবৃন্দ নিজ নিজ অনুষদের বিভাগসমূহের সাথে সমন্বয় করে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের সম্ভাব্যতা যাচাই করবেন এবং প্রযুক্তিগত সুবিধাদির মধ্যে প্রবেশাধিকারের বিষয়টি নিশ্চিত করার পরে এতদসংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
এ ছাড়া পরীক্ষার ফলাফল সংক্রান্ত যেসকল কাজ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস, সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের পরীক্ষা কমিটি সমন্বয় করে চূড়ান্ত করতে পারে সেই কাজগুলো এই বন্ধকালীন সময়ে সমাপ্ত করার জন্য সভা থেকে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। এ বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের অফিস সকল সহায়তা প্রদান করবে।
এছাড়াও সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও অনুষদকেও তাদের অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করে সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়। একইসঙ্গে নিজ নিজ বিভাগীয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সহায়তা নিতে বলা হয়।
You cannot copy content of this page