রাজু আহমেদ, সিংড়া:
করোনাভাইরাসের কারণে চলনবিলে দেখা দিয়েছে শ্রমিক সংকট। এতে বোরো ধান ঘরে তুলতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন প্রায় লক্ষাধিক কৃষক। তাই সিংড়ার চলনবিল এলাকায় পান্তা খেয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে কৃষকের ধান কেটে দিচ্ছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে চলনবিলের জোলারবাতা এলাকায় ব্যতিক্রম কাজের এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন সিংড়া পৌর আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার দমদমা মহল্লার রেজাউল করিমের দু বিঘা জমির ধান কেটে দেন।
সরেজমিন চলনবিলের জোলারবাতা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌসের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও শ্রমিক লীগের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী কাদা-পানি মাড়িয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে কৃষকের ধান কেটে দিচ্ছেন। পরে মাটিতে বসে পান্তা খেয়ে আবার কাজে ফিরে যান তারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমিন, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক আনিসুর রহমান লিখন, ভিপি সজিব ইসলাম জুয়েল, শ্রমিক নেতা আশরাফুল ইসলাম স্বপন, মো. হাসান ইমাম প্রমুখ।
পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হাসান ইমাম বলেন, তারা ধান কেটে দেয়ার পাশাপাশি এলাকার যুবক ও তরুণদের এই কাজে উৎসাহ প্রদান করছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমিন জানান, যারা গরীব, প্রান্তিক কৃষক অল্প জমির জন্য শ্রমিক পাচ্ছে না, তাদের ধান আমরা কেটে দেব।
সিংড়া পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস এ প্রতিবেদককে বলেন, চলনবিলের বোরো ধান কৃষকের চাহিদা মিটিয়ে সিংগভাগই অন্যান্য জেলার চাহিদা মেটায়। তাই আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নির্দেশনায় স্বেচ্ছাশ্রমে চলনবিলের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের ধান কেটে দিচ্ছেন স্থানীয় আ’লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এ ছাড়া শ্রমিক সংকটের কারণে ভর্তুকি মূল্যে সাতটি কম্বাইন হারভেস্টার যন্ত্র দেয়া হয়েছে। যাতে কৃষক তার উৎপাদিত ফসল স্বল্প খরচে কর্তন ও মাড়াই করতে পারে।
You cannot copy content of this page