সালাহউদ্দিন শুভ, মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ
মৌলভীবাজারে কমলগঞ্জের বড়চেক গ্রামের ভূমিখোকা ও মামলাবাজ মইন উদ্দীন মজুমদার ও তার ভাই মহিউদ্দীন মজুদারের বিরুদ্ধে শিংরাউলী মহম্মদ আলীর ক্রয়কৃত ভূমি জোরর্পুবক স্থাপনা নির্মাণ করে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। শুধু জমি দখল নয় মোহাম্মদ আলীর পরিবার ও নিরিহ গ্রামবাসীরা মিথ্যা ও মামলায় জর্জরিত। পরিবার নিরাপত্তা ও ভূমি দখলে বিষয়ে কমলগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন জমির মালিক মোহাম্মদ আলী। অভিযোগের বিষয়টি জানতে ২০ এপ্রিল সরজমিনে এলাকায় গেলে, সাংবাদিকদের নানা হুমকী দেন এবং নাজেহাল করেন অভিযুক্ত ভূমিখেকা মহি উদ্দীন মজুমদার।
ভূমির মালিক মোহাম্মদ আলী অভিযোগ করেন, বড়চেক গ্রামের মইন উদ্দীন মজুমদার তার ভাই মহি উদ্দীন মজুমদার ও এডভোকেট মুসলেহ উদ্দীন মজুমদার এলাকায় ভূমিখেকো ও মামলাবাজ হিসাবে পরিচিত। তারা আমার ১৯৮৯ সালে ক্রয়কৃত ৩১ শতক ভুমি মালিকানা দাবী করে দখলের চেষ্টা লিপ্ত। কিন্তু জমি দখলের বাধা দেয়ায় আমার পরিবারকে জড়িয়ে একাধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানী করছেন। আমার ক্রয়কৃত ভূমি মালিকানা দাবী করে মৌলভীবাজার বিজ্ঞ আদালতে মামলাা করলে সেই মামলার খারিজ হলেও আমার বিরুদ্ধে জমি দখলেও আরেকটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে যা আদালতে চলমান। পুলিশ প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও আইনজীবিসহ বৈঠক হলেও সে কোন কিছুই মানতে রাজি নয়। এমতাবস্থায় গত ১৫ এপ্রিল মামলার্ধীন ওই ভূমিতে জোরপুর্বক পাকা ঘর নিমার্ন করার পায়তারা করছে। এতে বাধা দিলে তারা আমাকে মেরে ফেলার হুমকী দেয়ায় ১৯ এপ্রিল কমলগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছি।
এদিকে অবৈধ ভূমি দখলের বিষয়টি সরজমিনে স্থানীয় কয়েকজন সংবাদকর্মীরা বড়চেক গ্রামে গেলে এডভোকেট মুসলেহ উদ্দীনের ভাই মহি উদ্দীন মজুমদার তাদেরকে রাস্তায় আটকিয়ে বাঁধা দেন এবং সংবাদকর্মীদের নাজেহাল করে তাদের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালায়। বিষয়টি কমলগঞ্জ থানা পুলিশকে অবগত করা হয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এডভোকেট মুসলেহ উদ্দীন মজুমদারের পরিবার স্থানীয় বাসিন্দা নন। তাদের বাবা মনির উদ্দীন সিলেট থেকে এসে এখানে বসবাস শুরু করেন। এডভোকেট মুসলেহ উদ্দীন মজুমদারে আইন পেশাকে অপব্যবহার এলাকায় প্রভাবখাটিয়ে নানা অর্পকম করে আসছে। তার বিরুদ্ধে গ্রামের কেউ কথা বললেই মামলা দিয়ে হয়রানী করার ভয়ে তার অপকর্মে নিরিহ গ্রামবাসী নিরব। অভিযুক্ত এডভোকেট মুসলেহ উদ্দীন মজুমদারের সাথে যোগযোগ করা চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুর রহমান বলেন, এ জমি নিয়ে একাধিকবার বৈঠক হলেও বিবাদীগনের কারনে সমাধান হয়নি। পাকা ঘর নিমার্নের বিষয়টি নিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে বলে জানা।
You cannot copy content of this page