স্টাফ রিপোর্টার: বিশ্বব্যাপী কোভিড’১৯ নভেল করোনা ভাইরাস মহামারী আকারে বিস্তার লাভ করায় এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশে। বিশেষ করে ব্যাপক ভাবে প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের মধ্যে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে। এদিকে ভয়ানক এপরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সারাদেশ প্রশাসনিকভাবে হটজোন ঘোষনা করা হয়েছে অথচ তার পরও রাতের আঁধারে এবং গোপনে অসংখ্য লোক পণ্যবাহী ট্রাক-পিকআপ ও প্রাইভেট যোগে ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রামে এসে ঢুকে পড়ছে। এদিকে তারা গ্রামে ঢুকেই অবাধে বাইরে ঘোরাফেরা করছে। কোনক্রমেই মানছেননা হোম কোয়ারেন্টাইন।
তবে আগত ওই লোকজনকে থানা পুলিশসহ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরজমিনে গিয়ে নিয়ম মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হলেও প্রশাসনের ওই কর্তাব্যক্তিরা চলে যাবার পর পরই সে নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখাচ্ছেন তারা। ফলে তাদের অবাধ বিচরণে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন পার্শ্ববর্তী বাসিন্দারা। এ বিষয়ে গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবীদের সাথে কথা বললে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুকরা বলেন,আমাদের কথায় গুরুত্ব না দিয়ে এবং ১৪ দিন হোমকোয়ারেন্টাইনে না থেকে তারা দিন-রাত হাট-বাজার এবং পাড়া-মহল্লায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। স্বেচ্ছাসেবীদের দাবী ওই সকল লোকজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সার্ভিস সেন্টারে কল দিয়েও তারা পুর্বের মতো সারা পাচ্ছেন না। এতে তাদের দাবী পুলিশী তৎপরতা আরো জোরদার করা হলে হয়তো বা পুর্বের ন্যায় আগত ওই লোকজনের অবাধে বাইরে চলাফেরা বন্ধ হয়ে যাবে এবং আতঙ্কিতদের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসবে।
এদিকে পার্শ্ববর্তী উপজেলা উল্লাপাড়া এবং বেলকুচিতে সম্প্রতি দুইজন করোনা রোগী সনাক্ত হওয়ায় জনমনে দেখা দিয়েছে চরম আতঙ্ক। তবে ইতোমধ্যে যে, দুইজন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে সে দুইজনই কিন্তু এসেছে নারায়ণগঞ্জ থেকে। কাজেই করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি বিলচলনের তাড়াশের জনগোষ্টিকে নিরাপদে নির্বিঘ্নে ঘরে রাখতে প্রশাসন প্রথম দিক থেকে যে গুরুত্ব দিয়ে আসছিল এখন সেই বিষয়টি বিবেচনায় এনে উপজেলার মধ্যে আরো নজরদারী বাড়ালে জনসমাগম রোধ হবে এমনটাই মনে করেন সচেতনমহল।
এছাড়া দলীয় ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর চলমান ত্রাণ সহায়তা চললেও সেখানেও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড’১৯ সামাজিক দুরত্বের নিয়ম। বাজার এলাকায় চলছে অবাধে মানুষের বিচরণ। গোপনে চলে খাবারের দোকান। তাড়াশের নওগাঁ, তাড়াশ,গুল্টা,রানীরহাট এবং মহিষলুটি বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে জনসমাগমের এমনই কিছু চিত্র দেখা যায়। প্রশাসনের তৎপরতা আরো জোড়ালো ও সময়মত সেবা নিশ্চিত হলে পুরো উপজেলার মানুষ কিছুটা হলেও নিরাপদে থাকতে পারবে এমনই বিশ্বাসব্যক্ত করেছেন তাড়াশবাসী।
এস/আর/শাহিন রেজা।
Leave a Reply