এম এ মালেক, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জে মামলা করে আসামীদের ভয়ে বাড়ি ছাড়া বাদী পরিবার। এ যেন মামলা করেই বিপাকে পড়েছে বাদী পরিবার। দীর্ঘদিন ধরে আসামীদের ভয়ে বাদী পরিবার বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের বিলশিল পাট্রা সেনপাড়া গ্রামে।
ভুক্তভোগী ও মামলা নথি সূত্রে জানা গেছে, গভীর নলকূপের পানি দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধের জের ধরে বিলশিলপাট্রা সেনপাড়া গ্রামের মো. সুলতান মাহমুদ গং ও কৃষক মো. মাসুদ রানার লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।
এ নিয়ে তাদের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনায় (২৩ ফেব্রুয়ারী ১৯) সকালে কৃষক মো. মাসুদ রানার বাবা রিয়াজ উদ্দিনকে সুলতান মাহমুদ গং হত্যার উদ্দেশ্যে মাথার মাঝ খানে কোপ দেয়। পরে চিকিৎসারত অবস্থায় তিন সপ্তাহ পর মারা যায় রিয়াজ উদ্দিন।
অবশেষে মামলায় আদালত থেকে মো. সুলতান মাহমুদ গং জামিনে এসে কৃষক মাসুদ রানা পক্ষের মো. মিলন এর স্ত্রী মোছাঃ লাবনী খাতুনের বাদী হওয়া জিআর মামলা নং ২৬৫/২০১৯ ও জিআর মোকদ্দমা নং ১৪৭/২০১৯ মামলা উঠিয়ে নিতে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছিলো।
এরই এক পর্যায় (৯ এপ্রিল ২০২০) বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে মো. সুলতান মাহমুদ, মেরাজুল ইসলাম, চাঁন মিয়া, সোহাগ, শান্ত, রাসেল, মোখলেছ, ইব্রাহীম, ইসমাইল, কালাম, ছালাম, আসলাম, রবিউল ও মোকাদ্দেস সহ আরও ৪/৫ জন হাতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বে-আইনী ভাবে মো. মিলন এর বাড়ীতে প্রবেশ করে ঘরের বেড়া ধারালো অস্ত্র দ্বারা কোপাই ও ভাংচুর করে প্রায় ৮০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে , ট্রাংকের তালা ভেঙ্গে নগদ ২০ হাজার টাকা ও একটি ওয়াল্টন ফ্রিজ ঘর থেকে বাহির করে নিয়ে যায়। বাধা চেয়ার চেষ্টা করলে তার মাকে হত্যার হুমকি দিয়ে চুপ থাকতে বলে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের মো. মিলন ও মোছাঃ সোহাগী খাতুন বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় তাদের আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
এদিকে- থানায় মামলা দায়েরের পর থেকে আসামীদের হুমকিতে ভয়ে বাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন মামলার বাদী মিলন ও সোহাগী খাতুনের পরিবার। এসব ঘটনা নিস্পত্তির লক্ষে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার চেষ্টা করেও আসামীদের অসহযোগিতার কারণে নিস্পত্তি হয়নি বলে স্থানীয়রা জানান। বর্তমানে মামলাটি সিরাজগঞ্জ সদর থানায় তদন্তাধীন আছে।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিরাজগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক মাহমুদ হাসান জুয়েল রানা বলেন, মামলার তদন্ত অব্যাহত আছে। তদন্তক্রমে আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে মামলায় অভিযুক্ত মো. সুলতান মাহমুদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে ফোনটি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ প্রসঙ্গে ৬নং ছোনগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাইদুল আলম মুঠোফোনে জানান, উভয় পক্ষের বিরোধ দীর্ঘদিনের আমরা দফায় দফায় চেষ্টা করেও মিমাংসা করতে পারিনি।
You cannot copy content of this page