সুজন ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য’ লাইনগুলো আজ গানের কলিতেই থেকে থেকে উপমাময়। বাস্তবতা রুক্ষ থেকে প্রচন্ড রুক্ষে। নিজের জীবন বাঁচানোর তাগিদেই মানুষ দিশেহারা। প্রাণ থেকে প্রাণ হীন মৃত স্বত্ত্বার সৎকার করা দুরহ হয়ে পরেছে। জীবনের নিশ্চয়তা ক্ষীন, বাঁচার আশা নিয়ে বাঁচতে চাওয়া মানুষগুলো আশ্রয় পেয়েছে করোনা যোদ্ধাদের কোলে। এমন একটা সময়ের দ্বার প্রান্তে পরিবারের সাথে থাকা মানুষগুলোও শেষ অব্দি জীবনের মায়ার টানে সরে আসছে।
সেই সঙ্কটময় মূহুর্তে আলোর দিশারী হয়ে দাঁড়িয়েছে হাসপাতাল-ক্লিনিক-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ডাক্তার, সাংবাদিক, নার্স, ওয়ার্ডবয় থেকে শুরু করে এ্যাম্বুলেন্সের সহকারীরা। সেবাই যাদের ব্রত আটকানোর সাধ্য কার? নির্ভীক প্রশাসন ও রাত-দিনের অতন্দ্র প্রহরী পুলিশ প্রশাসন ও সাংবাদিক । যারা মৃত্যু ভয় উপক্ষা করে সময়ের অগ্রগন্য শারথী হিসেবে মৃত্যুর মিছিলে নিজেদের বিলিয়ে দিয়েছেন।
এ চিন্তা মাথায় রেখে করোনা যোদ্ধাদের তরে এই ক্ষুদ্র প্রয়াস নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ওসমান গণি।
সময়ের নিমিত্তে যখন খাওয়ার হোটেল বন্ধ, সীমিত পরিসরে চলছে বাজার-সদাই, তখন এই করোনা যোদ্ধাদের জন্য তার ক্ষুদ্র প্রয়াস। শুরু হয়েছে রমজান মাস। সে লক্ষ্যে করোনা যোদ্ধাদের জন্য প্রতিদিন রমজান মাসে সাহেরী ও ইফতার ব্যবস্থা করা হবে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের নির্দেশনা মোতাবেক ডিউটিরত ডাক্তার, নার্স, ওয়ার্ডবয়, নিরাপত্তারক্ষী, এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার, ডিউটিরত পুলিশ প্রশাসন এবং দুস্থ-অসহায় মানুষের মাঝে রান্না করা খাবার পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ওসমান গণি।
এই সংকটময় মুহূর্তে করোনা যোদ্ধারা যখন বিভিন্নভাবে অবহেলিত হচ্ছেন তখন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ওসমান গণির এই উদ্যোগ ইতোমধ্যেই প্রশংসিত হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
ছাত্রলীগের সাংগঠনিক অভিভাবক আওয়ামী লীগ। ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে জানান, করোনাভাইরাস সংকট মোকাবেলায় সরকার সর্বদা তৎপর রয়েছে। ছাত্রলীগ একটি দায়িত্বশীল সংগঠন। দেশের বিভিন্ন সংকটময় মুহূর্তে ছাত্রলীগ সবসময়য় দেশের মানুষের পাশে ছিল। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ওসমান গণি তার এই ধারা অব্যাহত রাখবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ওসমান গণি জানান, ডাক্তার, সাংবাদিক, নার্স, ওয়ার্ডবয়, এ্যাম্বুলেন্সের সহকারী, পুলিশ প্রশাসনই বর্তমানে বৈশ্যিক মহামারী করোনাভাইরাস বিরোধী যুদ্ধে আমাদের মূল ভরসা। তারা একেকজন এক একটা যোদ্ধা। এই সংকটময় মুহূর্তে তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমিও চেষ্টা করছি তাদের এই মহান অবদানের সামান্যটুকু অংশীদার হতে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সেনা সদস্য আরিফুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক আবির হোসেন রকি, ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. সানভির, ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক রাসেল ইসলাম রেসাদসহ ঠাকুরগাঁও জেলা ও পৌর ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীবৃন্দ।
ঠাকুরগাঁওয়ের সন্তান বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের উপ-কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক আওলাদ হোসেন পাপন বলেন, দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে ডাক্তার, সাংবাদিক, নার্স, ওয়ার্ডবয়, এ্যাম্বুলেন্সের সহকারী, পুলিশ প্রশাসনের সদস্যরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের সেবা করে চলেছেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশনা মোতাবেক ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রলীগ এসব করোনা যোদ্ধাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাদের পাশে দাঁড়াতে পারাটা আমাদের জন্য সৌভাগ্যের।
You cannot copy content of this page