মামুন কৌশিক নেত্রকোণা প্রতিনিধি :
জানা যায় তেতুলিয়া গাগলাজুর ১১কি.মি. রাস্তার বেহাল দশার কারণে জেলা এক্সচেঞ্জ থেকে ইট বসিয়ে মেরামতের কাজ চলছে। যেন কোন ধরণের ঝামেলা ছাড়াই ধান কেটে নিয়ে আসতে পারেন হাওর এলাকার কৃষকরা। দ্রুত রাস্তাটি ঠিক করার তদারকির দ্বায়িত্ব পরে তেতুলিয়া গ্রামের নোওয়াব আলীর ছেলে শহীদ মিয়ার উপর।
উক্ত কাজে লেবার কন্টাকটর হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন নেত্রকোণা জেলার পৌর শহরের সাতপাইয়ের বাসিন্দা খাইরুল মিয়া।
গত ২৫ এপ্রিলে কয়েকটা অনলাইন ও একটা প্রিন্ট পত্রিকায় এই মর্মে খবর প্রকাশিত হয় যে, রাস্তা তদারককারীদের ইট চুরি করার সময় হাতে নাতে ধরেছে এলাকাবাসী।
এই বিষয়ে ভুক্তভোগী শহীদ মিয়া বলেন যে, যে নিউজটা প্রকাশিত হয়েছে এটি সম্পুর্ণ ভিত্তিহীন ও পূর্ব শত্রুতার কারণে করানো হয়েছে।
আমার বাড়িতে যে ইট আছে এগুলোর ক্রয়ের রশীদ আমার কাছে আছে। আর হাতে নাতে ধরার যে বিষয়টা দেওয়া হয়েছে এসময় আমি বা আমার পরিবারের কেউ ঘটনাস্থলে ছিলাম না।
তিনি আরো বলেন, কিছুদিন আগে তেতুলিয়া গ্রামের ধান ব্যবসায়ী রহুল আমীনের সাথে আমার একটা বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়েছে। এর জন্যই রহুল আমীন মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে আমার বিরুদ্ধে এই অপবাদ ছড়িয়েছে। আমি এই মিথ্যা সাজানো ঘটনার উপযুক্ত বিচার চাই।
এ বিষয়ে রাস্তার কাজের লেবার কন্টাকটর খাইরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটা সম্পূর্ণ বানোয়াট, সাজানো এবং মিথ্যা। আর নিউজে যে সকল সেচ্ছাসেবকের নাম বলা হয়েছে তাদের কাউকেই সেচ্ছাসেবক হিসেবে রাস্তার কাজে রাখা হয়নি। বরং তৌফিক, খাইরুল ও আমিরুল্লাহ নিজেদের গাগলাজুর ঘাটের সুবিধার জন্য তিন গাড়ি বালু নিজেদের উদ্দ্যোগে রাস্তায় দেয়। পরে আমি তৈল খরচ বাবদ এক হাজার টাকা তাদেরকে ঠিকাদারের কাছ থেকে নিয়ে দিয়েছি।
ঘটনার দিন তৌফিক, খাইরুল ও আমিরুল্লাহ আমাকে বলে যে, শহীদ মিয়ার বাড়িতে ইট নেওয়া হয়েছে সেটা যেন বলি। কিন্তুু যেহেতু কোন ইট শহীদ মিয়ার বাড়িতে নেওয়া হয়নি তাই সেটা আমি বলিনি। এজন্য তারা আমার শার্টের কলার চেপে ধরে এবং বলে যে, কাকা তোমাকে আর মারলাম না তবে লড়ির ড্রাইভার গুলোকে মেরে ঠিকই স্বীকার করাব যে, ইট শহীদ মিয়ার বাড়িতে নেওয়া হয়েছে।তখন তারা ড্রাইভারদের মেরে স্বীকার করায় যে তারা শহীদ মিয়ার বাড়িতে ইট নিয়েছে।
লেবার কন্টাকদার খাইরুল আরও বলেন যে, আমরা কোন জায়গায় কতগুলো ইট বিছিয়েছি তার সব প্রমাণ এবং ছবি আমার কাছে আছে। আমি এই মিথ্যা ঘটনার বিচার দাবী করছি এবং যদি আমরা কোন অপরাধ করে থাকি তবে আমাদেরও বিচার হোক কোন আপত্তি নাই।
ধান ব্যাবসায়ী রহুল আমীন পূর্ব শত্রুতার জন্য এই মিথ্যা ঘটনাটা সাজিয়ে আমাদের অপদস্ত করেছে।আমি দ্রুত উপরের মহলের কাছে এটার উপযুক্ত বিচার চাই।
Leave a Reply