এবার করোনা ভাইরাসমুক্ত হয়েছেন কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানার এসআই মো. চাঁন মিয়া। পর পর দুটি নমুনা পরীক্ষায় এসআই মো. চাঁন মিয়ার কোভিড-১৯ নেগেটিভ আসায় তাকে মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
তিনি রাজধানী ঢাকার উত্তরাস্থ কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে গত ১০ এপ্রিল থেকে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ১৮ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর করোনা ভাইরাস মুক্ত হওয়ায় মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) সেখান থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
ছাড়পত্রে নিজ বাড়িতে ১০ দিন হোম কোয়ারেন্টাইন থাকার জন্য এসআই মো. চাঁন মিয়াকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এসআই মো. চাঁন মিয়া ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানার নন্দীবাড়ি গ্রামের মো. নায়েব আলীর ছেলে।
কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) অনির্বান চৌধুরী মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, কিশোরগঞ্জ জেলায় ভৈরব থানায় কর্মরত এসআই (নি.) মো. চাঁন মিয়া হঠাৎ শ্বাস কষ্ট অনুভব করলে গত ৯ এপ্রিল ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে নমুনা সংগ্রহ করে কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জনের মাধ্যমে আইইডিসিআর-এ প্রেরণ করা হয়।
গত ১০ এপ্রিল তার কোভিড-১৯ কোরোনা ভাইরাস পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়া গেলে তাকে উন্নত চিকিৎসার (আইসোলেশন) এর জন্য ওইদিনই বিকাল পৌনে ৫টার দিকে বিশেষ এম্বুলেন্স যোগে ঢাকার উত্তরায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় দ্বিতীয় ও তৃতীয়বার পুনরায় কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করলে রিপোর্ট নেগেটিভ হওয়া উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে এসআই মো. চাঁন মিয়াকে মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল হতে তার নিজ বাড়িতে ১০ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন থাকার জন্য নির্দেশ দিয়ে ছাড়পত্র প্রদান করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কিশোরগঞ্জ জেলায় সোমবার (২৬ এপ্রিল) পর্যন্ত মোট ১৭৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১০ জন কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশের সদস্য রয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশের করোনায় আক্রান্ত সদস্যদের মধ্যে এসআই মো. চাঁন মিয়া প্রথম করোনাভাইরাস থেকে সুস্থতা লাভ করেছেন। এছাড়া জেলায় করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে তিনি তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে ভাইরাসমুক্ত হয়েছেন।
এর আগে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে করোনা ভাইরাসমুক্ত হয়েছিলেন ইটনা সদর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রশীদ। গত শনিবার (২৫ এপ্রিল) তিনি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পান।
এরপর দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে করোনা ভাইরাসমুক্ত হয়ে সোমবার (২৭ এপ্রিল) শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পান ডা. আরিফ আহমেদ জনি নামের একজন চিকিৎসক। তিনি করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত রয়েছেন।
You cannot copy content of this page