বিপ্লব দাশ, স্টাফ রিপোর্টার :-
করোনার কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে হরেক পেশার মানুষের পাশাপাশি কৃষকও। কঠোর পরিশ্রমের ফলে অধিক ফসল ফলানোর পরও শ্রমিকের অভাবের সেই ফসর ঘরে তুলতে পারছেনা কৃষক।
আর এই অসহায় কৃষকের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের একাংশ ।
গত কয়েক দিন ধরে শ্রমিকের অভাবে দুই কানি ( ৮০শতক) জমির পাকা ধান ঘরে তুলতে পারছিলনা চকরিয়া পৌর এলাকার একজন অসহায় দরিদ্র কৃষক।
পাকা ধান পড়ে আছে ফসলের মাঠে। করোনায় শ্রমিক ও অর্থ সংকট। যেকারনে পাকা ধান ঘরে তোলা নিয়ে ছিলেন চরম দুশ্চিন্তায়।
অবশেষে গত দুই দিন ধরে ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে দরিদ্র এই কৃষকের দুশ্চিন্তা দূর করে দিলেন, কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মঈন উদ্দিন এর নিদের্শনায় চকরিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের ব্যাবসায়ী শিক্ষা শাখার সাবেক সভাপতি মো জালাল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মো জুবাইর এর নেতৃত্বে মানবিক বিভাগের শওকত, আকবর, রিফাত সহ ২০ সদস্যদের ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী।
প্রতিদিন রোজা রেখে তারা ভোর ৬টা থেকে কৃষকের ধান কেটে হাসিঁ মুখে বাড়ি পৌঁছিয়ে দিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) ধান কাটা নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা জুবাইর জানান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের নির্দেশে জননেত্রী, দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদেশ পালনে সারা দেশের ন্যায় চকরিয়া উপজেলা, ইউনিয়ন থেকে শুরু করে ওয়ার্ড পর্যায়ের ছাত্রলীগ পর্যন্ত বর্তমানে অসহায় কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছে। সেই হিসেবে আমি ব্যতিক্রম নয়। ইতিপূর্বে জেলার অনেক কৃষকের ধান আমরা ঘরে তুলে দিয়েছি। বর্তমানে অব্যাহতভাবে তা চালিয়ে যাচ্ছি।
অসহায় কৃষক ধান চাষী জানান, ছাত্রলীগের নেতারা দুই কানি পরিমাণের ফসল কেটে ঘরে তুলে দিয়েছেন। তাতে আমার যেমন অর্থ সাশ্রয় হয়েছে। ঠিক তেমনি শ্রমিকের অভাব নিয়ে যে দুশ্চিন্তায় ছিলাম তাও দুর হয়েছে। আমি ছাত্রলীগের উপর খুবই খুশি।
তিনি আরো বলেন, এবার দুই কানি (৮০ শতক) জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছিলাম। ফলনও ভালো হয়েছে। ক্ষেতের ফসলে পাক ধরেছিল এক সপ্তাহ হয়েছে। কিন্তু ধান কাটার মজুরের অভাব ছিল প্রকঢ়।
এ অবস্থায় ছাত্রলীগ খবর পেয়ে নিজের নেতৃত্বে ২০ জন ছাত্রলীগ নেতা নিয়ে আর্কস্মিক কাঁচি হাতে আমার যে উপকার করেছে তা কখনো ভুলার নয়।
এদিকে ছাত্রলীগের এমন উদ্যোগে পুরো উপজেলা জুড়ে প্রশংসা কুড়িয়েছে
You cannot copy content of this page