ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি;শিল্প কলকারখানায় পুরুষের পাশাপাশি নারী শ্রমিকরা একই কাজ সমান তালে করলেও প্রতিনিয়ত মজুরী বৈষ্যমের শিকার হচ্ছে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার পিটিকন ইন্ডাস্ট্রিজে কর্মরত নারী শ্রমিকরা । একই কাজ এক সাথে নারী পুরুষ উভয়ে করলেও মজুরীর বেলায় নারী শ্রমিকদের বেতন পুরুষ শ্রমিকদের তুলনায় অনেক কম। নারী শ্রমিকেরা বেতন বৈষ্যমের শিকার হলেও চাকুরী হারার ভয়ে কোন প্রতিবাদ না করেই নিরবে শ্রম দিয়ে যাচ্ছে । আবার চাকরি হারাবার ভয়ে কাউকে বলতেও পারছেন না তারা।
বেতন বৈষম্যের শিকার দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা প্লাষ্টিক পন্য উৎপাদনকারী পিটিকন ইন্ডাস্ট্রিজে কর্মরত নারী শ্রমিকরা একই সাথে কাজ করে পুরুষ শ্রমিকরা প্রতিদিন ৩০০ টাকা হাজিরা পেলেও নারীরা পায় মাত্র ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা।
গতকাল বৃহস্পতিবার পৌর শহরের সুজাপুর এলাকায় গড়ে উঠা প্লাষ্টিক পন্য উৎপাদন ফ্যাক্টরী পিটিকন ইন্ডাষ্ট্রিজে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে কর্মরত রয়েছে প্রায় ৫০-৬০জন শ্রমিক। এদের মধ্যে বেশীর ভাগই নারী শ্রমিক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায় নারী শ্রমিকরা সকাল ৭টা থেকে সন্ধা ৭টা পর্যন্ত প্রতিদিন ১২ ঘন্টায় ৮০ টাকা থেকে এক’শ টাকা হাজিরায় কাজ করে। এদিকে প্রতিদিন ৮ ঘন্টার স্থলে ১২ ঘন্টা কাজ করলেও কোন প্রকার অতিরিক্ত মজুরী প্রদান করা হয়না তাদের। একই সাথে কর্মরত পুরুষ শ্রমিকদের বেতন ২৫০ টাকা থেকে তিন’শ টাকা। শ্রমিকরা জানায়, কাজের অন্য জায়গা না থাকায় তারা বাধ্য হয়েই এখানে কাজ করছে। শ্রমিকরা বলেন তাদের এই অভিযোগের কথা যদি ফ্যাক্টারী কতৃপক্ষ জানতে পারে তবে তাদের চাকরি থাকবেনা,তাই তারা সব মুখবুঝে চুপকরে থাকেন।
পিটিকন ইন্ডাষ্ট্রিজের ম্যানেজার খাদেমুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকদের সাথে আগাম চুক্তি করে কাজে লাগিয়েছেন। ফলে এখানে কোন বৈষম্যের কারণ দেখছেননা তিনি ।
বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র দিনাজপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক এসএম নুরুজ্জামান বলেন, এই বৈষম্য শুধু এখানেই নয়, সারা দেশে চলছে, তবে সুজাপুরের ওই কারখানার শ্রমিকদের বৈষম্য একেবারেই ভিন্ন, এজন্য তিনি প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ফুলবাড়ী শাখার আহবায়ক সৈয়দ সাইফুল ইসলাম জুয়েল বলেন, সরকার শ্রমিকদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায়, এই সমস্ত মুনাফা লোভী মালিকরা কৌশলে শ্রমিকদের বেতন বৈষ্যমের সৃষ্টি করে। এজন্য তিনি শ্রম মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
You cannot copy content of this page