কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাঈকা সাহাদাতকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। তার স্থলে নতুন নিয়োগ দেয়া হয়েছে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমা সিদ্দিকা বেগমকে।
বৃহস্পতিবার রাতে জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনে সাঈকা সাহাদাতকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে নতুন নিয়োগ দেয়া ইউএনওকে আগামী ৩ মের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদানের আদেশ দেয়া হয়েছে।
পেকুয়ার ইউএনও সাঈকা সাহাদাতের বিরুদ্ধে পেকুয়ার আলোচিত ১৫ টন চাল কেলেংকারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠে।
চাল কেলেংকারিসহ ইউএনও সাঈকা সাহাদাতের নানা অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গত কয়েক দিন ধরে সমালোচনার ঝড় উঠে। তার নানা কর্মকাণ্ডে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মীরাও তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এরপরপরই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তাকে পেকুয়া থেকে প্রত্যাহার করে নতুন ইউএনও নিয়োগ দিল। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন পেকুয়ার সর্বস্তরের মানুষ।
তাদের আশা, প্রত্যাহার হওয়া ইউএনও’র বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগসমূহের নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম পেকুয়ার ইউএনও সাঈকা সাহাদাতকে প্রত্যাহার এবং নতুন ইউএনও হিসেবে নাজমা সিদ্দিকা বেগমকে নিয়োগ প্রদানের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তবে সাঈকা সাহাদাতের দাবি সরকারি বরাদ্দের চাল কালোবাজারির অভিযোগ থেকে চেয়ারম্যানকে বাঁচাতে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।
তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ সত্য নয়। আমি কারো সাথে কোন অবৈধ লেনদেনে জড়িত নই। টইটং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১৫ টন চাল আত্মসাতের একটি মামলা নিয়েই এখন সবাই আমার বিরুদ্ধে ক্ষীপ্ত হয়ে গেছে।
You cannot copy content of this page