আতাউর শাহ্, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর শিকারপুরের চককালিদাস গ্রামে জব্বার মন্ডলের মাটির বাড়ি বসত করার অনুপযোগী হওয়ায় ইট দিয়ে পুননির্মাণ প্রস্তুতিকালে আপন বড় ভাই বাঁধা দিয়ে জানে মেরে ফেলার হুমকি অতপর ২লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, গত ০১ এপ্রিল/২০ তারিখে মাটির তৈরী টিনের ছাউনি বিসিষ্ঠ পুরাতন বাড়িটি ব্যবহারে অযোগ্য হওয়ায় ইচ্ছাকৃত ভাবে জব্বার মন্ডল ভাঙ্গিয়া ফেলে এবং ইট দ্বারা একই স্থানে নতুন করে মিস্ত্রী দ্বারা ইটের তৈরি বসত বাড়ি নির্মানের প্রস্তুতি নেন। ইট দ্বারা নির্মাণের জন্য মিস্ত্রী মাপযোগ করে খুটি সেন্টার স্থাপন করিলে, গত ইংরেজী ২০ এপ্রিল/২০ তারিখে আনুমানিক সন্ধা ৭ ঘটিকায় সময়।
উক্ত ব্যাক্তির বড় ভাই খয়বর মন্ডল(৬৮) এর হুকুমে ৪ছেলেসহ ৮/১০ জন সংঘবদ্ধ ভাবে হামিদুল(৪৫) রহিদুল মন্ডল (৪১), শাইফুল মন্ডল(৩৮), আব্দুল মান্নান (৪৯), তারা বিবি(৪৩), মো:তারিকুল মন্ডল(২৬), মতিউর রহমান(২৭) এসে কাজ বন্ধ করতে নির্দেস প্রদান করে জব্বারসহ তার সন্তানদের জানে মেরেফেলার হুমকি দেয়। তারা আরও বলে যদি ইটের বাড়ি নির্মাণ করতে চাস তবে আমাদেরকে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে অথবা ৫ শতাংশ জমি খয়বর মন্ডলের নামে বিনা টাকায় কবলা রেজিষ্টার করে দিতে হবে। অন্যথায় তোর বংশের সকলকে মেরে গুম করে ফেলবো।
জব্বার মন্ডলসহ তার ছেলেরা চাঁদা দিতে অস্বীকার করে বলেন, আমাদের নিন্ম তপসিল বর্নিত দলিল মূলে প্রাপ্ত হক দখলিয় সম্পত্তিতে আমি ঘর করব, চাঁদা বা জমি কোনটায় দিতে পারবনা বললে, খয়বর মন্ডল এর হুকুমে ৪ছেলেসহ ৮/১০ জন সংঘবদ্ধ দল মাপযোগ করা খুটি সমুহ ভেঙে ফেলে, আমাদের উপর খিপ্ত হয়ে একযোগে হাতে লাঠি, সাবল, লোহার রড, রামদা, হাসুয়া নিয়া আমার ও আমার সন্তানদের দিকে মারমুখী হইয়া আগাইয়া আসলে, প্রাণের ভয়ে ডাক- চিৎকার করিতে থাকি। আমার চিৎকার শুনিয়া গ্রামবাসি আগাইয়া আসিলে, তারা বলেন আজকের মতো বাচিয়া গেলি পরে তোদের দেখে নিব। আমাদের হাত থেকে তোদের কেউ বাচাতে পারবেনা বলে হুমকি দিয়ে তারা চলিয়া যায়।
জব্বার মন্ডলের কাছে জানা যায়, আমি নিরুপাই হইয়া স্থানীয় মন্ডল মাতব্বরের কাছে বিষয় টি জানালে তারা আপোষ মিমাংসার চেষ্টা করিয়া ব্যর্থ হইয়া আমাকে পুলিশ সুপার নওগাঁ বরাবর অভিযোগ দেওয়ার পরামশ্য দেন। আমি গত ১ মে/২০ তারিখে পুলিশ সুপার নওগাঁ বরাবর অভিযোগ প্রদান করেছি, এখন আমি ও আমার পরিবারের সকলেই ভয় ও আতংকে আছি । বর্তমানে আমার পরিবারের কিছু সদস্যরা টিনের বেড়ার ঘরে ও বাকিরা খোলা আকাশের নিচে বসবাস করতেছি।
Leave a Reply