মামুন কৌশিক নেত্রকোণা জেলা প্রতিনিধি:
নেত্রকোনায় আজ এক চিকিৎসকসহ আরো নয়জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। জেলা সিভিল সার্জন অফিস থেকে জানা যায় যে, শনিবার (২ মে) ১৯৭ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, এর মধ্যে সনাক্ত হয়েছে নয় জন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কলমাকান্দার একজন পুরুষ সনাক্ত হয়েছেন যার বয়স ৩০ বছর।
পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ পাঁচ জন সনাক্ত হয়েছেন। এক জন ডাক্তার সহ চারজন স্বাস্থ্যকর্মী যাদের মধ্যে তিন জন পুরুষ ও দুইজন নারী।
আটপাড়া উপজেলায় তিন জন সনাক্ত হয়েছে।যাদের মধ্যে শুনই ইডনিয়নের ভুগাপাড়া গ্রামের একজন যার বয়স ৩৫ বছর, তেলিগাতী ইউনিয়নের মঙ্গলসিদ্ধ গ্রামের একজন যার বয়স ২৭ বছর এবং বানিয়াজান আটপাড়া এর একজন যার বয়স ১৭ বছর এবং তিন জনই পুরুষ।
আজ পর্যন্ত সর্বমোট ৮৫৬ টি রির্পোট পাওয়া গেছে। জেলায় মোট সনাক্তকৃত সর্বমোট ৪৭ জন। গত সাতদিন নমুনা পরীক্ষা বন্ধ থাকার পর গত শুক্রবার ও শনিবারে মোট ১০ জন শনাক্ত হয়।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ল্যাবে পরীক্ষায় ওই লোকজনের শরীরে করোনা ধরা পড়ে।
মোট আক্রান্ত ৪৭ জনের মধ্যে ৩১ জনই পোশাককর্মী। বাকিদের মধ্যে তিনজন চিকিৎসক, পাঁচজন স্বাস্থ্যকর্মী, একজন হাসপাতালের ঝাড়ুদার, একজন এনজিওকর্মী, দুজন রাজমিস্ত্রির সহযোগী, দুজন কৃষক ও একজন শিশু।
আক্রান্তদের মধ্যে ৪১ জনই বাইরের জেলা থেকে এসেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ এপ্রিল জেলায় প্রথম দুজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। তাদের মধ্যে একজন খালিয়াজুরি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র নার্স (২৮)। অপরজন সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা (৫০)।
হাসপাতালের ওই নার্স নিজ বাড়ি গাজীপুরের কোনাবাড়িতে ছুটি কাটিয়ে ৬ এপ্রিল কর্মস্থলে যোগদান করে তিনদিন ডিউটি করেন। এরপর তার শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। আর লক্ষ্মীপুরের ওই ব্যক্তি নারায়ণগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। সেখান থেকে গত ৯ এপ্রিল সর্দি-জ্বরসহ করোনার লক্ষণ নিয়ে তিনি নিজ বাড়িতে আসেন। এরপর তার পাঁচ বছরের শিশু কন্যাটিও আক্রান্ত হয়।
অবশ্য ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকার পর গত শনিবার সুস্থ হয়ে বাড়ি চলে যান।
Leave a Reply