প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২২, ২০২৪, ১০:০৭ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ মে ৪, ২০২০, ৩:৫৩ পূর্বাহ্ণ
অলিউদ্দিন শামীম, ইতালী প্রবাসীঃ ইতালীর জনগণ দীর্ঘদিন লকডাউনে থাকার পর আজ থেকে তাদের ব্যাক্তিগত স্বাধীনতা কিছুটা ফিরে পাবে।তবে বাহিরে বের হবার সময় কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে:
বাহিরে বের হবার সময় বাধ্যতামূলক মাস্কও হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করতে হবে।
অনুর্ধ্ব ১৮ বছর বয়সীরা লিগ্যাল গার্ডিয়ানের সাথে বের হবার সুযোগ আছে।
পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ করা যাবে, তবে সেটা পিতা-মাতা,স্ত্রী-স্বামী/ভাই-বোন হতে হবে।চাচা চাচি-মামা-মামির সাথে দেখা করার অনুমতি নেই,
নাতি-নাতনিরা দাদা-দাদী/নানা-নানীর সাথে প্রয়োজনীয় সেফটি মেনে সাক্ষাৎ করতে পারবে।
অবিবাহিত জুটি যারা এখনও একত্রে বসবাস করে না তারা সাক্ষাৎ করতে পারবে।
পারিবারিক বড় অনুষ্ঠান অথবা পূর্ণমিলনি করা যাবে না।
খাবার,নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয়, চিকিৎসকের সাক্ষাৎ এবং ফার্মেসিতে যাওয়া যাবে।
কুকুর নিয়ে বের হওয়া যাবে এবং শরীর চর্চা করা যাবে।
গন পরিবহনে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান করতে হবে।
কেউ যদি এই মুহুর্তে নিজের রেসিডেন্টের বাইরে অন্য রিজিওনে অবস্থান করে তাহলে নিজ রিজিওনে ফিরতে পারবে।
এছাড়া জরুরী চাকরি, স্বাস্থ্যগত কারন এবং অন্যান্য জরুরি কারনে অন্য রিজিওনে যেতে পারবে, নিজের রিজিওনে বিনা কারণে স্বাধীনভাবে ভ্রমণের অনুমতি নেই।পুলিশ প্রশাসন বাঁধা দিয়ে বাসায় ফেরত পাঠানো হতে পারে এবং জরিমানার সম্মুখীন হওয়ার সম্ভবনা বিদ্যমান।
নিজের এলাকায় হাঁটা,দৌড়ানো এবং সাইক্লিংয়ের অনুমতি আছে।
নিজ এলাকার লেক, সমুদ্র সৈকত এবং পর্বতমালায় ভ্রমণের অনুমতি আছে, তবে একত্রে বেশী লোক হবার অনুমতি নেই।
একে অপরের থেকে কমপক্ষে এক মিটার দূরত্বে অবস্থান করতে হবে।
কন্সট্রাকশন, ম্যানুফ্যাকচারিং, পাইকারী বিক্রেতা এবং রিয়েল এস্টেট কোম্পানীর কার্যক্রম চালু হবে।
রেস্টুরেন্ট,ক্যাফে, পাস্তিচচেরিয়ে (কনফেকশনারি), জেলাতেরিয়ে (আইসক্রীম) তাদের সার্ভিস চালু করতে পারবে৷ তবে গ্রাহকরা সেখানে অবস্থান করে খেতে পারবে না। বাধ্যতামূলক বাসায় নিয়ে যেতে হবে।
২০২১ পর্যন্ত ইতালিতে টুরিস্ট নিষিদ্ধ এটা সম্পূর্ণ গুজব, যদিও অনেক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও বুদ্ধিজীবীরা আপাতত এই বছর টুরিস্টদের জন্য সীমান্ত বন্ধ রাখার পরামর্শ এবং মতামত দিয়েছে। তবে সম্ভবত এই গ্রীষ্ম থেকেই টুরিস্টদের জন্য ইতালির দরজা খোলা হতে পারে।
ইতালি সরাসরি টুরিস্টদের এখনও নিষেধাজ্ঞা দেয়নি, ইতালির অনেক বিমানবন্দর এখনও খোলা। বেশীরভাগ এয়ারলাইন্স তাদের যাত্রা স্থগিত করেছে। ইতালির রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা আল ইতালিয়া তাদের ইউরোপীয় ফ্লাইট চালু রেখেছে।
ক্রুজশীপ থেকে যাত্রীদের ইতালির বন্দরে অবতারণ নিষিদ্ধ।
বিদেশ থেকে আগতদের বাধ্যতামূলক দুই সপ্তাহের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। সেইসাথে তাদেরকে প্রমাণ করতে হবে কি কারনে ইতালি ভ্রমণ করছে। ইতালিতে কোথায় সেল্ফ আইসোলশনে থাকবে, সেখানে কিভাবে যাবে, ঠিকানা এবং ফোন নাম্বার এয়ারলাইন্স অথবা ট্রাভেল কোম্পানীকে প্রদান করতে হবে।
কফ, জ্বর অথবা কভিড-১৯ এর কোন লক্ষ্মণ থাকলে সেটা অবশ্যই ইতালিয়ান স্বাস্থ্যসেবা কতৃপক্ষকে প্রদান করতে হবে। মিথ্যা তথ্য প্রদান করলে তিন হাজার ইউরো জরিমানা করা হবে।
আগত যাত্রীরা গন পরিবহন ব্যবহার করতে পারবে না, পরিচিত কারো মাধ্যমে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে৷ ট্যাক্সি অথবা রেন্ট-এ কার ব্যবহার করে নিজ গন্তব্য স্থানে পৌঁছাতে হবে। যাত্রীদের নিজেদের ব্যবস্থা না থাকলে সিভিল প্রটেকশন ডিপার্টমেন্ট তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। খরচের বিষয় হলে ইতালিতে আগত যাত্রীকে নিজে বহন করতে হবে।