নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কিশোরগঞ্জ জেলায় সর্বশেষ পাওয়া নমুনা পরীক্ষা রিপোর্টে নতুন করে চারজনের করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ পজেটিভ ধরা পড়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) থেকে রোববার (৩ মে) পর্যন্ত এই চারদিনে জেলা থেকে পাঠানো মোট ৩৯৯ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট সোমবার (৪ মে) সন্ধ্যায় পাওয়া যায়।
এতে নতুন করে এই চারজনের করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ পজেটিভ ধরা পড়েছে। ফলে এই ভাইরাসে কিশোরগঞ্জ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে এখন ১৮৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
এই চারদিনে মোট ৯৭ জন সুস্থ হয়েছেন। এ আরে জেলা সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ছিল ১৫ জন। ফলে নিয়ে জেলায় মোট ১১২ জন সুস্থ হয়েছেন।
এছাড়া এই সময়ে করোনাভাইরাসে জেলায় আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি কটিয়াদী উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের বাট্টা গ্রামের তরুণ ভূইয়া (৪০)। পুরান ঢাকার চকবাজার এলাকার ব্যবসায়ী তরুণ ভূইয়া বাড়িতে এসে গত ২৯ এপ্রিল দুপুরে মারা যান। মারা যাওয়ার পর তার নমুনা পরীক্ষায় কোভিড-১৯ পজেটিভ এসেছে।
ফলে এ নিয়ে জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচজনে।
সোমবার (৪ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান জানান, কিশোরগঞ্জ জেলা থেকে বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) থেকে রোববার (৩ মে) পর্যন্ত এই চারদিনে মোট ৩৯৯ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল।
তাদের মধ্যে একজনের দ্বিতীয় নমুনাও কোভিড-১৯ পজেটিভ এসেছে। বাকি ৩৯৮ জনের মধ্যে চারজনের কোভিড-১৯ পজেটিভ এবং বাকি ৩৯৪ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
নতুন করোনা শনাক্ত হওয়া চারজনের মধ্যে দুইজন তাড়াইল উপজেলার, একজন ভৈরব উপজেলার এবং একজন কটিয়াদী উপজেলার মৃত ব্যক্তি তরুণ ভূইয়া।
শনিবার (২ মে) পর্যন্ত পাওয়া নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী কিশোরগঞ্জ জেলায় মোট ১৮৪ জনের করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ পজেটিভ এসেছিল। নতুন করে চারজন শনাক্ত হওয়ার পর এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮৮ জনে।
উপজেলাওয়ারী হিসাবে, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ১৭ জন, হোসেনপুর উপজেলার ৩ জন, করিমগঞ্জ উপজেলায় ১৭ জন, তাড়াইল উপজেলায় ২৮ জন, পাকুন্দিয়ায় উপজেলায় ৪ জন, কটিয়াদী উপজেলায় ১৪ জন, কুলিয়ারচর উপজেলায় ১০ জন, ভৈরব উপজেলায় ৪৬ জন, নিকলী উপজেলায় ৫ জন, বাজিতপুর উপজেলায় ৬ জন, ইটনা উপজেলায় ১১ জন, মিঠামইন উপজেলায় ২৪ জন ও অষ্টগ্রাম উপজেলায় ৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
তাদের মধ্যে কটিয়াদীর তরুণ ভূইয়া মারা যাওয়া পাঁচজন রয়েছেন। অন্য চারজন হলো, করিমগঞ্জ উপজেলার জঙ্গলবাড়ি মুসলিমপাড়া গ্রামের সেলিম মিয়া (৪৬), কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের বড়বাজার টেনু সাহার গলি এলাকার নিতাই (৬০), হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের দক্ষিন পানান গ্রামের ১০ বছর বয়সী শিশু মিজান এবং কুলিয়ারচর উপজেলার গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের মাতুয়ারকান্দা গ্রামের মোস্তফা মিয়া (৬০)।
Leave a Reply