প্রতিদিনের সময় ডেস্কঃ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম (তৌহিদ) হত্যার সাথে জড়িত প্রধান আসামীকে আটক করে হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছেন ময়মনসিংহ জেলা ডিবি ওসি শাহ কামাল আকন্দ ও এসআই দেবাশীষসহ পুলিশ সদস্যরা।
রবিবার (০৩ মে) সার্কেল এস পি আল আমিনের নেতৃত্বে আসামী আতিকুজ্জামান আশিক (২৭)কে গ্রেফতার করা হয়। আজ সোমবার (০৪ মে) এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এই তথ্য জানান পুলিশ সুপার আহমাররুজ্জামান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরো জানানো হয়, খুনি আশিক মৃত সোহেল মিয়ার ছেলে। আসামী আশিক পেশাদার চোর ও মাদক সেবী। ঘটনার দুই দিন আগে ভিকটিম তৌহিদের সাথে তার ভাড়াটিয়ার বাসার গলির রাস্তার মাথায় রমাজান মাসে সিগারেট খাওয়া নিয়ে ভিকটিম তার মোবাইল হাতে নিয়ে শ্বাসাইতে থাকে এবং উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। তখন থেকে মোবাইল নেওয়ার লোভ হয় আসামী আশিকের। তৌহিদ বাসায় (মেসে) গেলে পিছনে পিছনে আশিক এসে বাসা দেখে যায়।
ঘটনার দিন রাত আনুমানিক রাত ৩ টার দিকে বাসার ছাদ দিয়ে চুরি করতে আসলে তৌহিদ (ভিক্টিম) তাকে ধরে ফেলে। উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে পাশে থাকা রড দিয়ে ভিক্টিমকে রক্তাক্ত করে পালিয়ে যায়।
০৩ মে বিকেলে আসামীকে একুয়া বোর্ড এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেখানো মতে হত্যাকাণ্ডের সময় পরিহিত প্যান্ট এবং গেঞ্জি গাজীপুর শ্রীপুর এমসি বাজার হতে এবং ০৪ মে পুকুর হইতে রড উদ্ধার করা হয়।
প্রসঙ্গত, ময়মনসিংহ শহরের তিনকোনা পুকুরপাড় এলাকার সোলায়মান এর বাসার ভাড়াটিয়া জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলামকে গত ০১ মে ভোরে অজ্ঞাত ব্যক্তি কতৃক আঘাত প্রাপ্ত হয়ে ময়মনসিংহ হাসপাতাল মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে মৃত্যু হয়।
Leave a Reply