আতাউর শাহ্, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
নওগাঁ সদর উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়ন সরাইল বাজারে বাবার পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত আলমগীর হোসেনের খাজনা খারিজকৃত হক দখলীয় ৩শতাংশ সম্পত্তিতে সন্ত্রাসী কায়দায় জবর দখল করে রাতের আধারে টিনের ছাউনি ও বেড়া দ্বারা শেখ রাসেল ক্লাব নামে ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানায়- চককালিদাস গ্রামের ৯ জন ও সরাইল গ্রামের ১জন মোট ১০ জনের নাম উল্লেখ্য করে অভিযোগ করা হয়েছে, উল্লেখিত আসামি, আব্দুল জলিলের পুত্র সাখাওয়াত হোসেন মৃত সিরাজ মন্ডলের পুত্র সাহেব আলী, খবর আলী মন্ডলের ৩ পুত্র সাইফুল ইসলাম, হামিদুল, কোরবান, মান্নানের পুত্র মো: নাইম, মৃত বিরাজ মন্ডলের পুত্র আজাদ, কাজীমুদ্দিনের পুত্র আব্দুর রাজ্জাক ও তাঁর পুত্র রেজাউল, সরাইল গ্রামের ফকির চাঁনের পুত্র জামাল।
নওগাঁ সদর থানা আপোশ মিমাংসায় গুরুমুঁশি করে সময় ক্ষেপন করায়, নওগাঁ আদালতের শরণাপন্ন হয়ে ১৪৪/১৪৫ ধারায় নিষেধাজ্ঞার মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা সুত্রে জানা যায় ২০১১ খ্রিষ্টাব্দ আদালত উভয়পক্ষের শুনানিতে মামলার রায় বাদি আলমগীর এর পক্ষ প্রদান করেন।
আদালতের রায় কার্যকর করিবার জন্য নিম্ন তপশিল বর্ণিত সম্পত্তিতে আসামীগণ প্রবেশ করা হইতে সম্পূর্ণ বিরত থাকবেন, অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে, উল্লেখ্য করে লিখিত নোটিশ প্রদান করেন, নওগাঁ সদর মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি)।
গত ৩০এপ্রিল ২০২০ খ্রিষ্টাব্দ নওগাঁ পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১১ খ্রিস্টাব্দ অনধিকার প্রবেশে বাধা নিষেধ করিলে তাহারা দলবদ্ধ হইয়া মারপিট খুন-জখম করিবার হুমকি দিয়ে এই লেখা সময় পর্যন্ত জোরপূর্বক ভোগ দখল করিয়ে আসতেছেন।
আলমগীর হোসেনের কাছে জানাযায়, আমার ও আমার পরিবারের জান-মালের রক্ষা করিবার কথা ভেবে ও অপূরণীয় ক্ষতির আশঙ্কায়, আমি আমার জায়গা ভোগ দখল ছেড়ে আছি, আর অন্যায় নিজের কাছে মেনে নিতে না পারায় নওগাঁ পুলিশ সুপার বরাবর পুনরায় নতুন করে লিখিত অভিযোগ প্রদান করি। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবারের সকলেই নিরাপত্তাহীনতা আছি।
পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ এবং জীবনের নিরাপত্তা চেয়েছেন ভুক্তভোগী আলমগীরের পরিবার।
You cannot copy content of this page