1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম

স্মৃতিতে নেত্রকোণা জেলার ঐতিহ্যবাহী সিনেমা হল

সংবাদ দাতার নাম
  • সময় : সোমবার, ৪ মে, ২০২০
  • ৮৪৫ জন পড়েছেন

গোলাম কবীর কানাডার টরেন্টো থেকে :

মরহুম নওয়াব আলী (১৯২০-২ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৯)(নেত্রকোণা), তিনি ছিলেন নেত্রকোণা মহকোমা শহরের ঐতিহ্যবাহী হীরামন ও হাসনা টকিজ সিনেমা হলের মালিক। তাঁর বাবার নাম আমছর মিয়া বেপারি, জন্মস্থান কেন্দুয়া উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে। নওয়াব আলী সাহেবের একমাত্র সন্তান আব্দুল কাদির সাহেব। কাদির আংকেলের ছেলে শেখ তপুর সাথে আমার ভাল পরিচয় আছে।

বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় থেকে নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত বাংলাদেশের শহর, বন্দর ও গঞ্জের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র ছিল সিনেমা হল । কালের বিবর্তনে ও ডিজিটাইলাইজের কারণে, টেলিভিশন, কম্পিউটার, সেলফোন ও ইউটিউবের প্রভাবে দেশের বেশির ভাগ সিনেমা হল এখন বন্ধ হয়ে গেছে। তবে আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ এসব সিনেমাহলের ইতিহাস সংরক্ষণ করা যৌক্তিক মনে করি। আমি যেহেতু ১২ হাজার কিলোমিটার দুরে কানাডায় নাগরিক হিসাবে স্থায়ীভাবে বসবাস করি ২০০৫ সাল থেকে, সেহেতু আমার পক্ষে এর ইতিহাস লেখা সম্ভব নয়। কাজেই সবার কাছে মাফ চেয়ে সামান্য কিছু তথ্য ও স্মৃতির উল্লেখ করতে চাই মাত্র।

বিজয়া টকিজ/হাসনা টকিজ: বিজয়া টকিজ নেত্রকোণা মহকোমার প্রথম সিনেমা হল। হলটি ১৯৩৮ সালে উদ্বোধন করা হয়, মালিক ছিলেন প্রকৃত মিত্র। পরে ১৯৬৩ সালে বিজয়া টকিজ নওয়াব আলী সাহেব কিনে নেন এবং নতুন নাম দেন হাসনা টকিজ।
১৯৩৮ সাল থেকে প্রথম ১৩ বছর প্রজেক্টর দিয়ে বোবা ছবি দেখানো হত। পরে ১৯৫১ সাল থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত প্রজেক্টর দিয়ে ছবি ও আলাদা মাইকে সাউন্ড বাজানো হতো। পরে ১৯৬৬ সালে নওয়াব আলী সাহেব প্রজেক্টরটি ২ মাস ঢাকায় রেখে সাউন্ড সিস্টেম সংযোজনের ব্যবস্থা করেন। প্রজেক্টরের সাথে আলাদা স্পিকার বক্স জুড়ে দেয়া হয়।প্রজেক্টরটি এখনো সংগ্রহে আছে। জানতে পেরেছি এমন প্রজেক্টর বাংলাদেশে এখন একটিই সংরক্ষণে আছে। পরে সিনেমা হলটিতে নতুন প্রজেক্টর লাগানো হয়েছিল।
সিনেমা হলের ব্যবসা মন্দা হবার কারণে অবশেষে হলটি ১৯৯৮ সালে স্থায়ী ভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

হীরামন সিনেমা হল: হলটি ১৯৭০ সালে উদ্বোধন হয়, এর মালিক ছিলেন নওয়াব আলী সাহেব।
হলটি এখনো চালু আছে ও ডিজিট্যাল ফরমেটে ছবি দেখানো হয়।
আমি জীবনে প্রথম সিনেমা দেখেছিলাম হীরামন সিনেমা হলে উত্তর বিশিউড়ার
পিন্টু মামার সাথে । ফারুক ও কবরী অভিনীত সুজন সখী ছবি, সেই মধুর স্মৃতি কখনো ভুলব না।
হীরামন সিনেমা হলে সোনালী মৌচাকের সৌজন্যে ফিরোজ সাই, ফকির আলমগির,পিলু মমতাজ ও বিভিন্ন পপ সিংগারের অনুস্ঠান হয়েছিল

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

You cannot copy content of this page