মারুফ সরকার ,ঢাকা থেকেঃ মান্ধাত্মা আমলের ত্রাণ বন্টন পদ্ধতি পরিহার করে আধুনিক ডিজিটাল পদ্ধতিতে ত্রাণ বন্টন চেয়ে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ কংগ্রেস। গণমাধ্যমে প্রেরিত উক্ত বিবৃতিতে দলটির চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট কাজী রেজাউল হোসেন ও মহাসচিব এ্যাডভোকেট মোঃ ইয়ারুল ইসলাম বলেছেন, ত্রাণ চুরি ঠেকাতে যে কোন দুর্যোগে চাল বা অন্য কোন দ্রব্যাদীর পরিবর্তে নাগরিকদের কাছে নগদ অর্থ প্রদান করতে হবে। সে লক্ষ্যে ত্রাণ প্রত্যাশী নাগরিকরা তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নং উল্লেখ করে নিজস্ব মোবাইল থেকে সরকার বরাবর বার্তা পাঠাবেন এবং আর্থিক অবস্থা যাচাই পূর্বক উক্ত নম্বরে সরকার নির্ধারিত নগদ অর্থ মোবাইল ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে পাঠাতে হবে। সরকারের উচিৎ নাগরিকদের জাতীয় পরিচয় পত্রে কর সনাক্তকরণ তথ্য উল্লেখ করা যাতে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর যাচাই করে তাদের আর্থিক অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়।
যারা কর প্রদান করেন না তাদের সাথে যারা সরকারকে নিয়মিত কর প্রদান করেন জাতীয় সংকটে তাদেরকেও শ্রেণীভেদে আর্থিক সহায়তা দিতে হবে। বন্টনে স্বচ্ছতা না থাকায় সরকারী ত্রাণ ও প্রণোদনার সুফল সাধারণ জনগণ পাচ্ছে না- উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয় লক ডাউনে সরকার জনগণকে উপযুক্ত আর্থিক সুবিধা দিতে না পারায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণের জন্য সাধারণ জনগণ বিক্ষোভ করেছে এবং লক ডাউন ভেঙে পড়েছে। ফলে ভয়াবহতার দিকে যাচ্ছে দেশের করোনা পরিস্থিতি। করোনার সমুহ বিপদ এড়াতে এক্ষুনি সতর্ক ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
দেশের দুই কোটি প্রান্তিক মানুষকে পরিবার প্রতি দুই হাজার ৪০০ টাকা দেয়ার ঘোষণা দেয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই সহায়তার লক্ষ্যে মাত্র এক হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে যা অত্যন্ত অপ্রতুল এবং এখানে নিম্ন মধ্যবিত্তদেরকেও অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। এই সহায়তার পরিমাণ বৃদ্ধির আহবান জানিয়েছে দলটি। দলের দপ্তর সম্পাদক তুষার রহমান কর্তৃক স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে অবিলম্বে উক্ত আর্থিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় সেনাবাহিনীর মাধ্যমে সকল ওয়ার্ডে সব ধরণের শ্রমিক, নিম্ন আয়ের মানুষ ও সংকটাপন্ন মধ্যবিত্তদের তালিকা করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয়।
You cannot copy content of this page