সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলায় প্রতিপক্ষের লোকজন জোরপূর্বক জমির ধান কেটে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার সকাল নয়টায় উপজেলার চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়নের গাড়াবেড় গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে ও স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে , গাড়াবেড় মৌজার ৩৯৭ নং দাগের ৩৯ শতাংশের কাতে ৭ শতাংশ জমি নিয়ে মৃত মোহাম্মাদ আলীর পুত্র আব্দুল খালেকের সাথে তার ভাতিজা মৃত আজাহার আলীর পুত্র শাহ আলীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। বিষয়টি মীমাংসার জন্যে একাধিকবার গ্রাম্য সালিশী বৈঠক হয়। কিন্তু মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন স্থানীয় মুরুব্বিগণ।
পরে আব্দুল খালেক কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট এ ব্যাপারে পরামর্শের জন্য দরখাস্ত করেন। উপজেরা নির্বাহী কর্মকর্তা উভয় পক্ষকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ তাঁর কার্যালয়ে উপস্থিত হতে বলেন। উভয়পক্ষের কাগজপত্র দেখে বর্তমান রেকর্ড ও অন্যান্য কাগজসূত্রে ৭ শতাংশ জমির মালিকানা আব্দুল খালেকের বলে প্রতীয়মাণ হওয়ায় তিনি মীমাংসার জন্যে উভয়কে পরামর্শ দেন। উভয়পক্ষ নির্দেশনা মেনে সেখান থেকে চলেআসে। তখন থেকে আব্দুল খালেক ওই জমিতে শাহা আলীদের রোপিত ধানের পরিচর্যা করে আসছিলেন। বুধবার সকালে লোকজন জোগাড় করে জোরপূর্বক ওই জমি থেকে আধা পাকা ধান কেটে নিয়ে বাড়ি চলে যান শাহ আলির লোকজন।
এ বিষয়ে আব্দুল খালেক জানান, ” ওই ৭ শতাংশ জমি আমার ভাতিজা শাহ আলী জোরপূর্বক দখলে রেখেছিলো। কাগজপত্র অনুযায়ি ওই জমির মালিক আমরা। ইউএনও স্যার কাগজপত্র দেখে তাই বলেছেন ।”
এদিকে শাহ আলী জনান, “ওই জমি নিয়ে আমরা আদালতে মামলা করেছি। আইনত ওই জমি আমাদের, তাই ধান কেটে নিয়েছি।”
এ ব্যাপারে কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, “উভয় পক্ষের কাগজ দেখে আর এস রেকর্ড অনুযায়ি ওই জমি আব্দুল খালেকের নামে দেখা যায়। সেই মোতাবেক উভয় পক্ষকে বিষয়টি মীমাংসার নির্দেশ দিয়েছি।”
Leave a Reply