মোনাসিফ ফরাজী সজীব, মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুরের রাজৈরের চৌয়ারী বাড়ি দক্ষিণ চকে এবার শিক্ষকরা ধান কেটে দিলেন অসহায় দুই কৃষকের এই অসহায় কৃষকরা যখনই ধান কাটতে পারছিল না ঠিক তখনই তাদের পাশে গিয়েন দাঁড়ালো উপজেলার শিক্ষকরা তারা গত এক সপ্তাহ যাবৎ ধানকাটা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে শিক্ষকরা এর ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার চৌয়ারী বাড়ি দক্ষিণ চকে ছাত্র-শিক্ষক মিলে ধানকাটার কাজে অংশগ্রহণ করেন শিক্ষকদের ধান কাটার এলাকাবাসী ও কৃষকরা সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসি।
শিক্ষকরা জানান যতদিন প্রযন্ত রাজৈরের সকল ধান কাটা না হবে ততদিন পর্যন্ত শিক্ষকদেও ধান কাটার কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে, আর শিক্ষকদেও এই দান কাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহানা নাসরিন তদারকি করছেন বলে জানা গেছে
স্থানীয় পর্যায় থোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার রাজৈর উপজেলার চৌয়ারিবাড়ি দক্ষিন চকে দুই জন কৃষকের শ্রমিকের অভাবে তারা জমির পাকা ধান ঘরে তুলতে পারছিলনা। ঠিক সে সময়ে উপজেলা মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকরা সিদ্ধান্ত নেয় ঐদুই কৃষকের জমির দান কেটে দিবে। মঙ্গলবার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফজলুল হকের নেতেত্বে এক দল শিক্ষক কাচি হাতে নেমে পড়ে ধান কাটতে। শুধু লোক দেখানো নয়,বাস্তবিক অর্থে কৃষকদের দুই একর জমির পাকা ধান কেটে মাথায় করে বাড়ি নিয়ে মাড়াই করে ঘরে তুলে দেয়।
ধান কাটার অগ্রভাগে থাকা রাজৈর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিন্দ্রনাথ বাড়ৈ’র জানান, দেশজুড়ে যখন লকডাউন চলছে এ অবস্থায় ফসল ঘরে তুলতে শ্রমিক সংকটে ভুগছেন কৃষকরা। এ অবস্থায় শিক্ষক সমাজ ঘরে বসে থাকতে পাওে না।
রাজৈর উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় আলমদস্তার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহাবুব হোসেন সিকদার বলেন, কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ, শেখ হাসিনার নির্দেশ' এই শ্লোগানকে সামনে রেখে কৃষকের ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিলো শিক্ষক সমাজ।
কৃষক অজিতবর জানান, স্যারেরা আজ আমার বড় উপকার করল। স্যারদের এই উপকার কখনো ভুলবার না।
রাজৈর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফজলুল হক, বলেন প্রায় শতাধিক শিক্ষক স্কাউট আমরা সবাই মিলে
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চৌয়ারিবাডি দুই কৃষকের দুই বিঘা জমির পাকা ধান কেটে ঘরে তুলে দেই।
You cannot copy content of this page