আজকাল আর অনুভূতি প্রকাশের মাধ্যমগুলো কারো বুকের বা পাশটায় হয় না। হয়না একান্তই কোনো কাছের দূরের মানুষের কাছে। এখন প্রকাশ্য মাধ্যম গুলো হয় ভার্চুয়াল কিছু জিনিস। আমি জানি না, কথা গুলোর পেছনে কতটা সত্যি অথবা যুক্তি রয়েছে তবে স্বল্প জীবন থেকে নেওয়া, ভুল গুলো মার্জনার দৃষ্টিতে দেখবেন সবাই…
আমরা মনুষ্য জাতি। অনুভূতি কিংবা হতাশা বলে আমাদের একটা জায়গা রয়েছে। যেখানে শুধুই নিজেকে নিজ ইচ্ছায় নিজেকে সাজানোর, গুছানোর এবং স্বপ্নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছেটা প্রবল থাকে, তবে আশানুযায়ী নিজেকে সাজাতে না পেরে অকালেই ঝরে যায় অসংখ্য মানুষ।
আপনি ভালো আছেন.! তা দেখে অনেকেই খারাপ থাকবে। হু এটাই সত্য আর নির্মম বাস্তবতা। আপনি রাস্তায় পড়ে আছেন, পারলে আপনাকে ধাক্কা দিয়ে ম্যানহোলে ফেলে দিবে ; সমাজে এমন অনেক মানুষ রয়েছে। জানি সবাই এক নয়, তবে ম্যানহোল থেকে হাত ধরে তোলার মত মানুষগুলো সবার জীবনে আসে না।
যদি আসতো তাহলে হয়তো সাত বছরের কোনো শিশু ধর্ষিত হতো না। স্বল্প জীবনে আমাদের চাওয়া পাওয়া গুলো একটু বেশি হয়ে যায়, তাই হয়তো এত হতাশা।আপনি যাকে দেখছেন আপনার করে,সে আসলে আপনার জন্য কিছু করছে না…সে হোক বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, কিংবা কোনো প্রিয় মানুষ।
প্রকৃত পক্ষে আপনি একা। সত্যি অসম্ভব একা। একটা সময় দেখবেন যা কিছু আঁকড়ে ধরে, আপনি এগিয়ে যেতে চেয়েছেন সবই বৃথা,আপনাকে প্রটেক্ট করতে কেউ এগিয়ে আসেনি,আসবে না। জীবনটা একার। তাই কেউ বাহবা জানাতে না পারলেও, তিরস্কার করতে আসবেন না। ভেবে দেখবেন তার খারাপ সময় গুলোতে আপনি পাশে ছিলেন কিনা।
লেখিকাঃ কানিজ কেয়া
শিক্ষার্থী, ন্যাশনাল কলেজ অব হোম ইকোনোমিক্স, ঢাবি।
Leave a Reply