1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৯:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনাম
ঠাকুরগাঁওয়ে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন, থানায় অভিযোগ ঠাকুরগাঁওয়ে রোজাদার ও শিশুদের মাঝে ইফতার বিতরণ ঠাকুরগাঁও অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আরজেএফ’র ইফতার ও দোয়া  মাহফিল অনুষ্ঠিত রাজশাহী মহানগর আ’লীগের উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবস পালিত পীরগঞ্জে ভোমরাদহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত রাজশাহী মহানগর আ’লীগের ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালন এতিম শিশুদের নিয়ে এডিবিবিএস এর  ইফতার ও দোয়া মাহফিল ঠাকুরগাঁওয়ে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর

২৭০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ঈদজামাত হচ্ছে না শোলাকিয়ায়

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
  • সময় : শনিবার, ১৬ মে, ২০২০
  • ২৮৩ জন পড়েছেন

১৭৫০ সাল থেকে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ময়দানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। সে হিসাব অনুসারে শোলাকিয়া ঈদগাহের বয়স ২শ’ ৭০ বছর। প্রতিষ্ঠার ৭৮ বছর পর ১৮২৮ সালে প্রথম বড় জামাতে এই মাঠে একসঙ্গে ১ লাখ ২৫ হাজার অর্থাৎ সোয়ালাখ মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করেন। এই সোয়ালাখ থেকে এ মাঠের নাম হয় ‘সোয়ালাখিয়া’, যা উচ্চারণ বিবর্তনে হয়েছে শোলাকিয়া।

২৭০ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথমবারের মতো শোলাকিয়ায় ঈদজামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ও মুসল্লিদের জীবন ঝুঁকি বিবেচনা করে ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় ঈদের জামাত আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সে প্রেক্ষিতে শোলাকিয়া ঈদগাহে ঈদের জামাত আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বৃহত্তম জামাতে হিসাব অনুযায়ী, এবার শোলাকিয়া ঈদগাহে ১৯৩তম ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী জানান, করোনা ছড়িয়ে পড়া রোধে সারাদেশে খোলা মাঠ ও ঈদগাহে ঈদের জামাতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী ঐতিহাসিক শোলাকিয়া মাঠে ঈদের জামাত না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তাছাড়া বর্তমান পরিস্থিতিতে ঈদগাহ কমিটির সভা করাও সম্ভব হচ্ছে না।

তবে জাতীয় পর্যায়ে সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে কমিটির সভাপতি হিসেবে শোলাকিয়ায় ঈদের জামাত হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে এ নিয়ে স্থানীয় ইমাম-ওলামাদের সঙ্গে মিটিং করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, প্রতি বছর শোলাকিয়ায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠানের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়। এজন্যে অন্তত দেড় মাস আগে থেকে মাঠের সংস্কার, নিরাপত্তা ও অন্যান্য প্রস্তুতি শুরু করা হয়। দফায় দফায় প্রস্তুতি সভাও অনুষ্ঠিত হয়।

কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে এবার এখন পর্যন্ত কোন প্রস্তুতি সভা করা যায়নি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং ধর্ম মন্ত্রণালয় এবার ঈদজামাত উন্মুক্ত স্থানে বড় জমায়েত পরিহার করতে নির্দেশ দিয়েছে। তাই বড় পরিসরে ও উন্মুক্তস্থানে ঈদের জামাত হবে না। সে অনুযায়ী শোলাকিয়ায় ঈদজামাত আয়োজন করা হচ্ছে না।

কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পূর্বপ্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীর ঘেঁষে অবস্থিত প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় উপমহাদেশের বৃহত্তম ঈদুল ফিতরের জামাত। ২০১৬ সালে ঈদুল ফিতরের দিন ঈদজামাতের আগে মাঠের কাছে একটি চেকপোস্টে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটলেও লাখ লাখ মুসল্লি ঈদজামাতে অংশ নিয়েছিলেন।

জঙ্গি হামলা পরবর্তি পরিস্থিতিতেও এখানে বন্ধ হয়নি ঈদজামাত। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ভয়কে জয় করে মুসল্লিরা অংশ নিয়েছেন শোলাকিয়ার ঈদজামাতে।

কিন্তু এবার অদৃশ্য অনুজীব করোনা বদলে দিয়েছে শোলাকিয়া ঈদগাহের ২৭০ বছরের ইতিহাস। নানা প্রতিকূল সময়েও এখানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। কোনো পরিস্থিতিতে ঈদের জামাত আয়োজনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।

তবে চলমান করোনা মহামারিতে এবার প্রথমবারের মতো ঈদের দিনে খালি থাকছে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান। থাকছে না সেই চিরচেনা কোলাহল। লাখো মানুষের মুখরতা।

প্রতি বছরই ঈদুল ফিতরের দিন শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিণত হয় মুসলিম সম্প্রদায়ের মহামিলন কেন্দ্রে। বাংলার বারো ভূঁইয়ার অন্যতম ঈশাখাঁ’র ষোড়শ বংশধর হয়বতনগরের জমিদার দেওয়ান মান্নান দাঁদ খান তাঁর মায়ের অসিয়াত মোতাবেক ১৯৫০ সালে শোলাকিয়া ঈদগাহের জন্য ৪.৩৫ একর জমি ওয়াক্ফ করেন।

সেই ওয়াক্ফ দলিলে উল্লেখ রয়েছে, ১৭৫০ সাল থেকে এ মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠার ৭৮ বছর পর ১৮২৮ সালে প্রথম বড় জামাতে এই মাঠে একসঙ্গে ১ লাখ ২৫ হাজার অর্থাৎ সোয়ালাখ মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করেন।

কিশোরগঞ্জ মৌজার এ মাঠের মূল আয়তন বর্তমানে ৬.৬১ একর। প্রাচীর ঘেরা শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে মোট ২২২টি কাতার রয়েছে যেখানে একসঙ্গে দেড় লক্ষাধিক মুসল্লি নামাজ আদায় করেন। এছাড়া মাঠে স্থান সংকুলান না হওয়ায় ঈদগাহ সংলগ্ন খালি জায়গা, রাস্তা, সেতু এবং নিকটবর্তী এলাকায় দাঁড়িয়ে আরো দ্বিগুণ মুসল্লি ঈদজামাতে শরিক হন।

জনসমুদ্রে পরিণত হওয়া ঈদগাহ ময়দানে আগত মুসল্লিদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে জামাত শুরুর সংকেত দেয়া হয়। রেওয়াজ অনুযায়ী, জামাত শুরুর ৫মিনিট আগে ৩টি, ৩ মিনিট আগে ২টি এবং ১ মিনিট আগে ১টি শর্টগানের গুলি ছোঁড়া হয়।

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

%d bloggers like this: