নওগাঁয় শপিংমল খোলার এক সপ্তাহ যেতেই আবারও বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। শপিংমলগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব না মানায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শনিবার (১৬ মে) বিকেলে শপিংমল বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে এক গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন নওগাঁর জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোঃ হারুন অর রশীদ। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় নওগাঁর সব দোকানপাট-শপিংমল বন্ধ।
জেলার সব ব্যবসায়ী ও জনসাধারণের দৃষ্টি আর্কষণ করে গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য বাজার যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে শর্তসাপেক্ষে খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। কিন্তু গত কয়েকদিন বাজার ও শপিংমলে সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, বাজার ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ৯০ শতাংশ শর্ত মেনে চলার বিষয়টি অবহেলা করেছেন। এ অবস্থায় জনসাধারণ তথা নওগাঁবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও মৃত্যু ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে আগামীকাল রোববার (১৭ মে) থেকে সব ধরনের দোকান-পাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হলো।
গণবিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান, কাঁচাবাজার এবং ওষুধেরে দোকানসহ জরুরি পরিষেবা এই নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।
নওগাঁর জেলা প্রশাসক মো. হারুন অর রশীদ বলেন, ১০ মে থেকে সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক হাটবাজার, ব্যবসাকেন্দ্র, দোকানপাট ও শপিং সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সীমিত আকারে খোলা রাখার অনুমতি দেয়া হয়েছিল। যেখানে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার, ক্রয়-বিক্রয়ের সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, দোকানের সামনে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হয়েছিল। এসবের কিছুই মানা হয়নি। ফলে আবারও শপিংমল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত এটি বলবৎ থাকবে।
সামাজিক সংগঠন একুশে নওগাঁর সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী বলেন, রাজশাহী বিভাগের মধ্যে নওগাঁ করোনার হটস্পটে পরিণত হয়েছে। দোকানপাট চালুর পর সামাজিক সচেতনতা মেনে চলার যে নিয়ম ছিল তা মানা হয়নি। এতে করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। হাটবাজারে গেলে মনে হয় যেন কিছুই ঘটেনি। সবকিছুই স্বাভাবিক। অথচ দেশে করোনার মহামারি চলছে। দোকানপাট বন্ধ করা জেলা প্রশাসনের একটি উপযুক্ত সিদ্ধান্ত। এটি অনেক আগেই করা উচিত ছিল।
এদিকে, করোনাভাইরাসকে উপেক্ষা করে শনিবারও নওগাঁ শহরসহ উপজেলার শপিংমলগুলোতে মানুষের ভিড় দেখা গেছে। শপিংমলগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি। জেলায় এ পর্যন্ত ৮৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।#
You cannot copy content of this page