1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের মুজিবনগর দিবস পালন রাজশাহীতে বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস পালিত ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন: ইতালী আওয়ামী লীগ কাতানিয়া শাখা রাজশাহীতে নিক্বণ নৃত্য শিল্পী গোষ্ঠীর বর্ষবরণ অনুষ্ঠিত রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে বর্ষবরণ উদযাপিত  বিএমডিএ: ইবিএ প্রকল্পে দুর্নীতি, ভোগান্তিতে গ্রামীণ কৃষক ভূল্লীতে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ঠাকুরগাঁওয়ে চেম্বার অফ কমার্স নির্বাচনের একটি প্যানেলের সংবাদ সম্মেলন মাদক ব্যবসায়ীর মৃত্যুকে পূঁজি করার চেষ্টা করছে ফখরুল-এমপি সুজন ঠাকুরগাঁওয়ে মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২ যুবক

ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অবসর যাপন

সংবাদ দাতার নাম
  • সময় : বুধবার, ২০ মে, ২০২০
  • ১৪১৭ জন পড়েছেন

আসমাউল মুত্তাকিন, ঢাকাঃ প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের আতঙ্কে এখন সারা বিশ। এই ভাইরাসের ছোবল বাংলাদেশেও আক্রমণ করেছে।দিনদিন বাড়ছে সংক্রমণের হার ও মৃত্যু সংখ্যা।করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রেখেছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।ফলে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই এখন নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন। ঘরবন্দি অবস্থায় শিক্ষার্থীদের এই দিনগুলো কেমন কাটছে এ নিয়ে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেছেন দৈনিক প্রতিদিনের সময় প্রতিনিধি আসমাউল মুত্তাকিন।

জুয়াহরিয়া বিনতে আলী (অরনি)
ডিপার্টমেন্ট অফ কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইন্জিনিয়ারিং

এই প্রথম দীর্ঘ ২ মাস বাসায় সবাই মিলে কোয়ারেন্টাইনে অবস্থান করছি।হ্যা- তবে একটানা বাসায় থেকে মন খারাপ হচ্ছে।কারন মিস করছি সেই চিরচেনা ক্যাম্পাসটিকে।দিনের প্রায় অর্ধেকের বেশি সময় ক্যাম্পাসে কাটানো,সেই সময় গুলো ভীষন মনে পরে।কিন্তু বর্তমান অবস্থা চিন্তা করে বাসায় থাকায় শ্রেয়।তাই নিজের অবসর সময়টা কাটাচ্ছি নিজেকে কিছু কাজের সাথে যুক্ত রেখে।সেল্ফ ইমপ্রুমেন্টের ওপর বেশি জোড় দিচ্ছি।নাচ,গান,নাট্য এবং গ্লামার প্রিয় মানুষ আমি।তাই পড়াশুনার পাশাপাশি নিজেকে এসব বিষয়ে দক্ষ করতে চেষ্টা করছি এবং সারাদিন এভাবে নিজেকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করছি।আর সব থেকে বড়ো ব্যাপার হলো এই সময়টা নিজের পরিবারের সাথে কাটাচ্ছি।

দূর্জয় মিএ বড়ুয়া (অর্ক)
আইন বিভাগ

কোয়ারেন্টাইনে আমার বেশ ভালো কাটছে।অনেক দিন পর পরিবারের সাথে জমিয়ে কাটাচ্ছি।যেহেতু আমি পড়ালেখার পাশাপাশি অভিনয় এবং মডেলিং এর সাথে যুক্ত তাই সুটিং,পড়ালেখা,প্রোগাম এতোকিছুর মধ্যে পরিবারকে একদমই সময় দেওয়া হতো না।বাবা-মা ও আমাকে কাছে পেয়ে বেশ খুশি।সারাদিন সময়টা তাদের সাথে গল্প করতেই কেটে যায়।পাশাপাশি পড়ালেখাকে ঠিক রাখতে হচ্ছে।অনলাইন ক্লাস হচ্ছে।যার ফলে বাসায় বসেই আমাদের পড়ালেখা এগিয়ে চলছে।স্যার এবং ভার্সিটি কতৃপক্ষ আমাদের সব সময় খোঁজ নিচ্ছে।পাশাপাশি যেহেতু আমি থিয়েটার এবং মিডিয়াতে আছি তাই নিজেকে অভিনয়ে দক্ষ করে তুলছি।কারাতে প্রেকষ্টিস করছি।অবসর সময়ে সাইকোলজি রিলেটেড বই পড়ছি।নাচ-গান,অাবৃত্তি,রান্না এইসবে নিজেকে দক্ষ করার চেষ্টা করছি।আর হিন্দি এবং ইংলিশ ভাষা শেখার চেষ্টা অবহৃত আছে ।আর বেশি মিস করছি আমাদের চিরচেনা সবুজ ক্যাম্পাসকে।কতদিন বনমায়ায় বসে আড্ডা দেওয়া হয় না,কতদিন ডিটির গলির মামার সিঙ্গারা খাওয়া হয় না।কিন্তু সব হবে পৃথিবীটা একটু সুস্থ হোক আমরা আবার ফিরে যাবো আমাদের ক্যাম্পাসে।তার উপর বন্ধু ব্যাচমেট ক্যাম্পাসের বড় ভাই, আপু,জুনিয়র সবাইকে ভীষন মিস করছি।মিস করছি বেষ্টফ্রেন্ডদের।যেদিন এই পৃথিবী সুস্থ হবে সবার আগে দৌড়ে যাবে ক্যাম্পাসে।ততদিন শুধু সবাইকে একটু সর্তক হয়ে চলতে হবে।এটা শুধু সময়ের অপেক্ষায়….।

মুন্না মনির-
ডিপার্টমেন্ট অফ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং

হোম কোয়ারেন্টাইন আমার মনোবল ও আত্মবিশ্বাসকে অনেক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।জীবনকে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং করেছে।এতে করে আমি আমার ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অনলাইন কার্যক্রম ও অনলাইন ক্লাস গুলোর সাথে সংযুক্ত হতে পেরেছি।আমার পরিবারের সাথে ভালো সময় পার করছি।নিজের প্রতিভা গুলোকে কাজে লাগার চেষ্টা করছি।এর সাথে মডেলিং এর জন্য নিজেকে গ্রুমিং করছি,গান-নাচ ও আবৃত্তি করছি।পাশাপাশি নতুন নতুন টেকনোলজি সাথে পরিচিত হচ্ছি।যেহেতু উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাহিরে পড়তে যাওয়ার ইচ্ছা আমার আছে সেহেতু বিভিন্ন অনলাইন সেশন করছি।যার মাধ্যমে আমি ইংলিশ স্কিলটাকে আরও পাকাপোক্ত করার চেষ্টা করছি।এভাবে আমি আমার নিজেকে অনলাইনের মাধ্যমে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করছি।আশা রাখছি একদিন করোনার প্রবল থাবা থেকে মুক্তি মিলে আবার আমার ফিরবো সেই ব্যস্তম জীবনে।

হোমায়ারা জেরিন জ্যোতি-
ডিপার্টমেন্ট অব এনএফই

যে মানুষগুলো খোলা ক্যাম্পাসের চারিদিকে দাপিয়ে বেড়ায় রাতদিন তাদের জন্য ‘কোয়ারেন্টাইন’ শব্দটা মোটেও সুখের নয়। কিন্তু এমন এক বৈশ্বিক পরিস্থিতে ঘরে থাকা যেহেতু সুস্থ থাকার একমাত্র উপায় তাই ঘরে থাকাই শ্রেয়।কোয়ারেন্টাইন ততটাও খারাপ হয় না যখন পরিবার সাথে থাকে।আমি বাসার সবার সাথেই ভালো সময় কাটানোর চেষ্টা করছি। আমি এই সময় আমার ভার্সিটিলাইফটা সত্যিই মিস করছি।কিন্তু শিক্ষকসহ বন্ধুদের সাথে ঘরে বসেই দেখা করতে পারছি অনলাইনে।এটা আসলে মানসিক শান্তির একটা বড় জায়গা।সেমিষ্টার শুরু হওয়ার পরে ব্যাস্ততা বেড়ে যায় একাডেমিক কার্যক্রমের কারনে। পাশাপাশি যে বইগুলো এতদিন পড়া হয়নি।সেগুলো পড়ে শেষ করছি।মাঝে মাঝে রান্নাবান্না করা,মুভি দেখা,ইনডোর গেমস খেলে সময় কাটছে আমার। যোগাযোগ রাখছি সকলের সাথে ভার্চুয়ালি। মন ভাল ও শান্ত রাখার জন্য করছি সময় মত প্রার্থনা। আমি আশা রাখি পৃথিবীটা একদিন আবার সুস্থ হয়ে উঠবে সেই প্রতিক্ষায় আছি।

হাসিবুল আলম জিন্নাহ-
টেক্সটাইল ডিপার্টমেন্ট

বর্তমান সময়টা সবারই অন্যরকম ভাবে কাটছে সেখানে আমার ক্ষেত্রেও ব্যাতিক্রম নয়।তবে কেটে যাচ্ছে সময়টা আল্লাহর রহমতে।এখন রমজান মাসবেশ ধার্মিকতার মধ্য দিয়ে দিন যাচ্ছে, প্রত্যেকটা ওয়াক্তের নামাজ পড়ছি তার পাশাপাশি কোরআন তেলাওয়াত করি। বেশি বেশি দোয়া করি যাতে করে আমরা এই কঠিন আজাব থেকে মুক্তি পাই।তাছাড়া একদম অবসর সময়ে ঘরের কাজে কিছু সাহায্য করি এবং মাঝে মধ্যে সোশাল মিডিয়াতে বন্ধুদের সাথে কথা বলছি এবং তাদের খোঁজ খবর রাখছি। লকডাউনে সবথেকে বেশি মিস করি প্রাণপ্রিয় ক্যাম্পাসটাকে।কারন ওখানেই আছে আসল তৃপ্তি সবাই একসাথে ক্লাস করা হাসি, মজা, আড্ডা দেয়া এ সকল কিছুই।

নওশীন তাবাসসুম মাটি-
ডিপার্টমেন্ট অফ নিউট্রিশান এ্যান্ড ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং,

কোয়ারেন্টাইন অনেক যাবত বাসায় আছি।আর বিগত দিনগুলোতে পরিবারের সাথে দারুণ সময় কাটছে।নিজের প্রতিভাকেও কাজে লাগাতে পারছি।গান করছি, কবিতা লিখছি,নতুন নতুন রান্না করছি।বেশ তো চলে যাচ্ছে দিন।ক্যাম্পাসটাকে খুব মনে পড়ছে।আমার ক্যাম্পাসটা আমার কাছে খুব প্রিয়,হলে থাকার সুবাধে আমার বিল্ডিং এর সেই ঘরটা আমার অনেক আপন।খুব তাড়াতাড়ি ফিরতে চাই ক্যাম্পাসে।

ফারহান সাদিক
ইংলিশ ডিপার্টমেন্ট

তারিখটা এখনো মনে পরে মার্চ এর ১১ আমাদের মিড শেষ হলো। দুই তিন দিনের এর জন্য বাবা-মা এর সাথে সময় কাটানোর জন্য চলে এসেছিলাম বগুড়াতে।কিন্তু ওই দুই-তিন দিন যেন দুই-তিন মাসে পরিনত হবে এমনটা ভাবতেও পারিনি। মাঝে মাঝে হতাশা ঘিরে ধরে এই দুই-তিন মাস আবার দুই -তিন বছরে পরিনত হবে না তো! প্রথম কয়েকদিন বাসায় থেকে মনে হলো না এভাবে সময় কাটানো ঠিক হচ্ছে না।তাই আমার পছন্দের কাজগুলো করছি।অনলাইন ক্লাশ করছি।পড়াশোনা সঠিক ভাবে করার চেষ্টা করছি।

আল আরাবী আনাম-
ডিপার্টমেন্ট অফ বিজিনেস এডমিনিস্ট্রেশন,

বাসা থেকে বের হই না প্রায় দুই মাস…..
একটানা এত দিন বাসায় থাকতে হবে এটা কখনো ভাবতে পারি নি। যাই হোক এই সময়টা একদিকে যেমন অনেক কষ্টকর অন্যদিকে সুখের। বাবা-মায়ের সাথে সারাক্ষণ নানান কাজে সময় কাটাচ্ছি। বাসায় থেকে শিখেছি রান্না। নিয়মিত ব্যয়াম করছি। ইউটিউব দেখে নানান রকম অনলাইন কোর্স এর মাধ্যমে নিজেকে করছি দক্ষ। প্রিয় ক্যাম্পাস এর কথা প্রতিদিন ই মনে পরে। কবে আবার ফিরব জানি না । তবে এইটুক বিশ্বাস করি আবার ফিরব ক্যাম্পাসে আবার আড্ডা জমে উঠবে চায়ের কাপ ।

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

%d bloggers like this: