দেশের অন্তত কয়েক হাজার কোটিপতির সন্তান বিদেশে পড়াশোনা করেন। এসব কোটিপতিদের অন্তত ৯০ ভাগের আয়ের উৎসই রাষ্ট্রকে চুষে খাওয়া টাকা।
হাজার হাজার কোটি টাকা প্রতিবছর এইসব সন্তানদের এস্টাবলিশমেন্টের জন্যে বিদেশে পাচার করা হয়। আবার এরাই টাকার বদৌলতে নীতি কথার খই ফোটান, দাবি করেন "আমরাই বাংলাদেশ"
কিন্তু না, এসব টাকাওয়ালা ও তার সন্তানরা ফিরেও তাকায়নি এ রাষ্ট্রের দিকে। তাকিয়েছেন ছবির মিজানুর রহমান সরকারের মত গ্রাম্য চাষাভুষার ছেলেরাই। বিদেশে থেকেও স্কলারশিপের টাকা বাঁচিয়ে দেশের জন্য পাঠিয়েছেন করোনা পরীক্ষার কিট ও kn95 মাস্ক। দেশের মধ্যেও করোনা প্রতিরোধে সম্মুখ সারির সবাই খেটে খাওয়া মানুষের সন্তান।
চীনের নানতং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান তাঁর বৃত্তির টাকা বাঁচিয়ে বাংলাদেশে করোনা পরীক্ষার ১০০টি কিট কিনে পাঠিয়েছেন। কেবল তাই নয়, পাঠিয়েছেন ৩০৮টি কেএন-৯৫ মাস্কও। জয়পুরহাটের সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও চিকিৎসকদের মধ্যে মাস্কগুলো বিতরণের ব্যবস্থা করিয়েছেন তিনি।
আমি আশাবাদীদের দলে। বাংলাদেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখি। স্বপ্ন দেখি একদিন বিভেদের দেয়াল ভেঙে আগামীর তারুণ্য গড়বে মৈত্রীর সোপান। মিজানুর রহমানরাই আমাদের সেই স্বপ্ন দেখায়।
"মিজানুর রহমানরাই বাংলাদেশ"
ফেসবুক থেকে নেয়া
You cannot copy content of this page