স্টাফ রিপোর্টারঃ গত দুই দিনের অতিবর্ষণ সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে তলিয়ে গেছে প্রায় আড়াইশ বিঘা জমির পাকা ধান। এর আগে উপজেলা কৃষি অফিস পাকা ধান কাটতে মাইকিং করে সতর্কতা জারি করলেও অনেক কৃষক তা আমলে নেননি।
স্থাণীয়সূত্রে জানা গেছে উপজেলার নিশ্চিন্তপুর, মনসুরনগর ইউনিয়নের চরাঞ্চলগুলোতে গত কয়েকদিনে টানা বর্ষণে যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর অনেক শুকনো নালা দিয়ে পানি প্রবেশ করে নালার আশপাশের জমির ধানগুলো তলিয়ে গেছে। সেইসাথে চালিতাডাঙ্গা ও গান্ধাইল ইউনিয়নের বিল এলাকার পাকা ধানক্ষেত তলিয়ে গেছে শুধু মাত্র বৃষ্টির পানিতেই। পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকার দরুন বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা।
শনিবার সরেজমিন এসব এলাকা ঘুরে দেখা গেছে তলিয়ে যাওয়া ধান ডিঙি নৌকা ও ধান সিদ্ধ করার এক ধরণের কড়াই ব্যবহার করে ডুব দিয়ে কাটা হচ্ছে।
চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়নেরর গাড়াবেড় গ্রামের কৃষক লাল মিয়া জানান, ‘কাটবো কাটবো করেও সময় পাইনি। হঠাৎই বৃষ্টি হওয়ায় এখন বিপদে পড়েছি। খাল খনন করলে আর এই সমস্যা হতো না।’
একই গ্রামের কৃষক আব্দুল মান্নান বলেন, 'সরকার আমাদের এখানে খাল খনন করে দিবে বলেও দিচ্ছেন না। খাল খনন করার পর পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা হলে এমন ভোগান্তির শিকার হতাম না। '
মনসুরনগর ইউনিয়নের কুমারিয়াবাড়ি গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম জানান, ‘যমুনার খালগুলোতে পানি ঢোকার ফলে আমাদের এলাকার অনেকেরই পাকা ধান তলিয়ে গেছে। এখন ধান কাটার লোকও পাওয়া যাচ্ছেনা।’
কাজিপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রেজাউল করিম জানান, ‘পাকা ধান দ্রুত কাটতে দশদিন পূর্বেই পুরো উপজেলায় মাইকিং করা হয়েছে। অনেকেই কেটেছে। যারা নির্দেশ শোনেননি তাদেরই ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া কয়েক হেক্টর জমির তিল ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে।'
You cannot copy content of this page