বিশেষ প্রতিনিধিঃরাজশাহী বাগমারার জনগনের অন্যত্তম অভিভাবক ও বাগমারা অঞ্চলের জঙ্গীদের অন্যত্তম দোসর ইঞ্জি: এনামুল এমপি কে নিয়ে দেশের প্রভাবশালী জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলো যে ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবীদার।কারন জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ইনকিলাব হাতে প্রমানাদিসহ ইঞ্জি: এনামুল এমপির ২য় স্ত্রীর বিষয়ে যে সকল তথ্য দেয়া হয়েছে তা রীতিমত আঁতকে উঠার মত বিষয় বৈকী।
ঐ প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে- লিজা কিভাবে রাজশাহীতে এত গাড়ী-বাড়ীর মালিক হলেন। রাজশাহী শহরের মত জাগায় কিভাবে আরডিএ মার্কেটে বড় বড় হাফ ডজন দোকান কিনেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস মোড়ের লিজার এক নিকট প্রতিবেশী বলেন- ২০০৫ সালের দিকে এই লিজা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন ঘোষপাড়া মোড়ের সুমি নামের একজন দেহ ব্যবসায়ীর বাসায়। সেখানে তিনিও ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন সুমির সাথে। তবে লিজার বাবা – মার তেমন কোন সম্পত্তিই ছিলনা। তারাও টানাপোড়নের মাঝেই জীবন- যাপন করেছেন।সে দশম শ্রেণীর ছাত্রী থাকা কালীন সময়ে প্রদীপ নামের এক হিন্দু
ছেলের সাথে পালিয়ে যায়।পরবর্তীতে প্রদীপের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা হয়।পরে মামলাটি মিমাংসার মাধ্যমে নিস্পত্তি হয়।এছাড়াও রাজশাহী তালাইমারীতে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে নিয়ে স্বামী – স্ত্রী পরিচয়ে ভাড়া ছিলেন দীর্ঘদিন।তাছাড়াও ডলার নামের এক সহজ সরল ছেলেকে বিয়ে করে তার সাথেও প্রতারনা করেন।
লিজার এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়- তিনি ছোট বেলা থেকেই অনেক উচ্ছৃঙ্খল ছিলেন। নবম শ্রেনীতে পড়ার সময় তার নাকি ৩/৪ জন বয়ফ্রেন্ড ছিল।যারা রীতিমতো মটরসাইকেল নিয়ে আনাগোনা করতেন তার ঘোষপাড়ার ভাড়া বাসায়।
তবে এদিকে সেই এলাকাবাসীর প্রশ্ন ৫০০ টাকার ভাড়া বাসায় থাকা লিজা এত সম্পত্তির মালিক কিভাবে হলেন তা সবারই প্রশ্ন।
তবে রাজশাহী তেরখাদিয়ায় বর্তমানে তার নির্মানকৃত ৫ তলা ভবনেই চলছে অনুমোদনবিহীন সুদের কারবার।সেই এনজিওর নাম নর্থ – বেঙ্গল। যেখানে টাকা নিলে গুনতে হয় চড়া সুধ।শুধু তাই নয় এমপির স্ত্রী থাকাকালীনও এমপি মহোদয়ের অনুপস্থিতিতে তার বয় ফ্রেন্ড যাতায়াত করত তেরখাদিয়ার এই বাসায়।তবে প্রথম থেকেই তেরখাদিয়া এলাকাবাসী এই সকল কর্মকান্ডের বিরোধীতা করে আসছিল। কিন্তু এমপি সাহেবের স্ত্রী হবার সুবিধে লিজাকে কেউ কিছুই বলার সাহস পাননি।
তবে পারিবারিক ও সামাজিক মান সন্মান রক্ষার্থেই রাজশাহী ৪ আসনের সাংসদ ইঞ্জি: এনামুল লিজাকে ডিভোর্সের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা বুঝতে আর কারোই বাকী নেই।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজশাহী মহানগরীর আইন শৃংখলা বাহিনীর একাধীক কর্মকর্তা জানিয়েছেন – বিষয়টি এখন টক অব দ্যা সিটি হলেও ইঞ্জি: এনামুলের ২য় স্ত্রী এমন কোন অভিযোগ দাখিল করতে পারেননি,যে অভিযোগের ভিত্তিতে এমপি সাহেবকে আমরা দোষী সাব্যস্ত করতে পারি । তবে এমপি মহোদয়ের ২য় স্ত্রীর বিভিন্ন বিষয়ে তদন্ত চলছে।
অন্যদিকে রাজশাহী দুদকের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন- লিজা একজন দূর্নীতিবাজ মহিলা।তার বিষয়ে শিঘ্রই অনুসন্ধানে নামবে দুদক।
You cannot copy content of this page