সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃতাহিরপুর উপজেলায় বৌলাই নদীর উপর সাত বছর পূর্বে তাহিরপুর -রতনশ্রী ব্রীজ চালু হলেও মাত্র দেড় কিঃমিঃ রাস্তার জন্য এই ব্রীজ রতনশ্রী গ্রামের কোন কাজেই আসছে না।
ব্রীজের উত্তর প্রান্ত রতনশ্রী গ্রাম,এই গ্রামটি উপজেলা সদরের অতি নিকটে একটি বৃহত্তর গ্রাম, উপজেলা সদরের এই বৃহত্তর গ্রামে রয়েছে তিনটি মসজিদ, মসজিদে মুসল্লিরা নামাজ পরতে গেলে কষ্ট করে নৌকা দিয়ে যেতে হয়,আরো রয়েছে দুইটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, গ্রামের ছোট ছোট কোমলমতী শিশুরা যারা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ জীবের ঝুকি নিয়ে নৌযানে
বিদ্যালয়ে যায় আরো অনেক পরিবার ভয়ে স্কুলে যেতে দিচ্ছে না তাদের সন্তানদেরকে যার কারনে অকালে ঝড়ে পড়ছে কোমলমতি শিশুরা। আরো রয়েছে একটি কওমী মাদ্রাসা,ব্রীজের দক্ষিন দিকে রয়েছে তাহিরপুর থানা, থানার দক্ষিনে রয়েছে, তাহিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, থানার পশ্চিমে রয়েছে তাহিরপুর উপজেলার বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী কার্যলয় ও তাহিরপুর সদর বাজার, বাজারের পশ্চিমে রয়েছে, তাহিরপুর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, ও একটি আলিয়া মাদ্রাসা, সবগুলোই হল গুরুত্বপূর্ন জায়গা যেখানে প্রতিদিন না গেলেই নয়, কিন্তু ঠিকমত যেতে পারছে না রতনশ্রী গ্রামের জনগন,গ্রামের পূর্বদিকে তাহিরপুর সদর হাসপাতাল,অনেক সময় দেখা যায় গুরুতর রোগীকে হাসপাতালে নিতে অসুবিধা হয়,হাসপাতালের পূর্বদিকে রয়েছে, জয়নাল আবেদীন মহা বিদ্যালয় , যোগাযোগ ব্যাবস্থা খারাপ থাকার কারনে শিক্ষাথীরা ঠিকমত কলেজে যেথে পারছে না পিছিয়ে পড়ছে রতনশ্রী গ্রামবাসী, তাহিরপুর সদরের একেবারে কাছের গ্রাম এটিই, তাসত্ত্বেও শুধু যোগাযোগের জন্য এগ্রামটি মনে হয় তাহিরপুর থেকে অনেক দূরবর্তী কোন গ্রাম। গ্রামবাসী বলেন বর্ষা মৌসুমে নিজ গ্রামের নিকট আত্বীয়দের সাথেও দেখা হয়না রাস্তা না থাকায় বাড়ি(হাটি)গুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।সাত বছর ধরে বৌলাই নদীর ব্রীজ চালু হলেও শুধুমাত্র রাস্তার অভাবে ব্যাবহার করতে পারছি না আমরা রতনশ্রীবাসী, আমাদের একমাত্র চলার সম্বল নৌকা,বাজারে যাওয়া,স্কুল , কলেজ, অফিস-আদালত, হাসপাতাল যেখানেই জাই কিন্তু ঐদিকে কোটি টাকা ব্যায়ে ব্রীজ হয়েছে কাজে আসছে না , আমরা যেন এখনো একশো বছর পিছিয়ে রয়েছি।এখন গ্রামবাসীর দাবী , স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও উন্নয়নশীল সরকারের সুদৃষ্টি রাখা ও আগামী শুকনো মৌসুমে ব্রীজের সাথে রতনশ্রী গ্রামের স্থায়ী রাস্তা চাই।
You cannot copy content of this page