স্টাফ রিপোর্টারঃ সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে কনোরার থাবা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। একদিনে তিনজন করোনা পজেটিভ ধরা পড়লেও জনগণের মধ্যে ঢিলেঢালা ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এপ্রিলের প্রথমে উপজেলা প্রশাসন কাজিপুরের চরাঞ্চলের ছয়টিসহ সোনামুখী ইউনিয়ন লকডাউন ঘোষণা করেছিলো। সেসময় পুলিশী টহল জোরদার থাকায় মানুষ অনেকটাই ঘরমুখো ছিলো। মাস্ক না পড়ে কেউ ঘর থেকে বের হতো না। এ অবস্থায় গত ২৪ এপ্রিল দুইজন করোনা রোগী সনাক্ত হয়। তখন প্রশাসন জোরেসোরে প্রচারণা চালায় এবং নিয়মিত মনিটরিং করে। ফলে বেশ কিছুদিন কাজিপুর করোনার ভয়াবহতা থেকে নিরাপদ ছিলো।
সম্প্রতি কাজিপুর থানার তিনজন পুলিশ করোনা পজেটিভ হওয়ায় লকডাউন হয় পুরো থানা। সেই থেকে তেমন কোন পুলিশী টহল নেই কাজিপুরে। এরই মধ্যে দোকানপাট সহ সবকিছু খুলে দেয়া হয়। মানুষও সবকিছু ভুলে নিজেদের মতো করে চলতে শুরু করেছে। আগের মতো তারা মুখে মাস্ক ব্যবহার করছেন না। হাট-বাজারেও নেই সামাজিক দূরত্বের বালাই। উপজেলা প্রশাসন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকগণ বারবার সামাজিক নিরাপত্তা বজায় রাখা, মুখে মাস্ক ব্যবহার করা ও প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়া এবং বার বার সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার উপর গুরুত্ব দিলেও সরেজমিনে দেখা গেছে এর উল্টো চিত্র।
গতকাল মঙ্গলবার কাজিপুরের গান্ধাইল বাজারের মাছের দোকানে গিয়ে দেখা যায় বেশীরভাগ লোকজন মুখে মাস্ক ছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা উপেক্ষা করে কেনা কাটা করছেন। বুধবার (১০ জুন) দুপুরে উপজেলার হরিনাথপুরে দশ টাকা কেজির চাল বিতরণ স্থলে গিয়েও একই চিত্র দেখা গেছে। উপজেলার চরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় হাট নাটুয়ারপাড়াতেও চলছে জনসমাগম করে কেনা বেচা, স্বাস্থ্যবিধির কথা কেউ ভাবছেনই না।
কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডাঃ মোমেনা পারভীন পারুল জানান, ‘জনগণকে করোনার ভয়াবহতা তুলে ধরে করণীয় সম্পর্কে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু তেমন সাড়া মিলছে না। এ অবস্থা চলতে থাকলে করোনার ভয়াবহতার কবলে পড়তে হবে।’
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হাসান সিদ্দিকী জানান, ‘জেলা তথ্য অফিসের মাধ্যমে গত রবিবার কাজিপুরে মাইকিং করে জনগণকে করোনায় করণীয় ও সচেতন হতে প্রচারণা চালানো হয়েছে। মাস্ক ব্যবহার না করলে আইনানুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
Leave a Reply