নিজস্ব প্রতিবেদক; সবুজ আন্দোলন পরিবেশ ও জলবায়ু উন্নয়নে নিরলস কাজ করা একটি পরিবেশবাদী সংগঠন। সবুজ আন্দোলন মূলত সরকারের পরিবেশ আন্দোলনের রূপরেখা কে বেগবান করতে নিজস্ব প্রচেষ্টায় কাজ করে যাচ্ছে।
সারা পৃথিবীর প্রধান সমস্যা জলবায়ু সংকট। পরিবেশ ও জলবায়ু অবনতির কারণেই পৃথিবীজুড়ে একের পর এক মহামারী প্রকট আকার ধারণ করেছে। পৃথিবীতে জলবায়ু ও পরিবেশ বিপর্যয়ে বাংলাদেশে রয়েছে সবচেয়ে ঝুঁকিতে। যেহেতু বাংলাদেশ জলবায়ু ঝুঁকিতে প্রথমে রয়েছে, সে কারণে ২০১৮ সালের ১ লা সেপ্টেম্বর পরিবেশ উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে সবুজ আন্দোলন নামক সংগঠনটির যাত্রা শুরু করে। জার্মান প্রবাসী শাহাবুদ্দিন মিয়ার প্রেরণা ও তরুণ সংগঠক বাপ্পি সরদারের অক্লান্ত পরিশ্রম ও মেধায় ভর করে মাত্র দুই বছরে সবুজ আন্দোলন দেশ ও বিদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। সংগঠনটির শুরুতে জার্মান প্রবাসী শাহাবুদ্দিন মিয়ার সাথে ঢাকায় সবুজ আন্দোলন’র চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদার ও শাহাবুদ্দিন মিয়ার মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শাহাবুদ্দিন মিয়াকে প্রধান উপদেষ্টা করার সিদ্ধান্তে উপনীত হয়ে আস্তে আস্তে সদস্য সংগ্রহ করা হয়। সংগঠন পরিচালনার জন্য শাহাবুদ্দিন মিয়া অর্থ দিতে আগ্রহ দেখালে এক পর্যায়ে পরিচালনা পরিষদ গঠন করা হয়। শুরু থেকেই বলা হচ্ছিল সংগঠনটিকে রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত রেখে কাজ করা হবে।
বর্তমানে পরিবেশ উন্নয়নে কাজ করা সবুজ আন্দোলনের কর্মকাণ্ডকে বানচাল করতে বিএনপি ও জামাতের সক্রিয় একটি সিন্ডিকেট উঠেপড়ে লেগেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, অধ্যাপক এম মিজানুর রহমান গত সংসদ নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি থেকে নমিনেশন ফরম জমা দেন। তার জন্মস্থান ঝিনাইদহ। পারিবারিক ভাবে তিনি ও তার পরিবার সক্রিয় ভাবে বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত। বর্তমানে তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।
তথ্য সূত্রে জানা গেছে তিনি অবৈধ ভাবে উত্তরাতে স্টুডেন্ট কনসালেন্টটি করছে। বিভিন্ন সময়ে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে অসহায় ও বেকারদের প্রতারণা করে আসছিলেন। অন্য দিকে বিএনপি-জামাতের আরেক সক্রিয় সিন্ডিকেট আবু বকর ছিদ্দিক, যিনি আইনজীবী হিসেবে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফরমে সক্রিয় ছিলেন। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় ভাবে মনোনয়ন জমা না দিয়ে সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর – তারাকান্দা আসনে বর্তমান প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের বিপক্ষে। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ ভলেন্টিয়ারস ফাউন্ডেশন নামে আরেকটি সংগঠন দাঁড় করাতে চেষ্টা করছে। এই দুইজন বিতর্কিত ব্যক্তির কর্মকান্ড সবুজ আন্দোলনের চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদার জানার পর থেকে বিভিন্ন ভাবে সতর্ক করে আসছেন। তিনি বারবার মৌখিকভাবে সতর্ক করেছেন সরকারবিরোধী কোনো প্রকার কর্মে তার সংগঠন কখনোই সম্মতি জানাবে না। কিন্তু সংগঠনের চেয়ারম্যান এর এমন সতর্কতার জবাব দিতে সংগঠন কি ভেঙেচুরে বানচাল করে দেয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত হন এই দুইজন বিএনপি-জামাতের সক্রিয় এজেন্ট। আর এরই ধারাবাহিকতায় সংগঠনটি চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা গুজব ও অপপ্রচার ছরিয়ে সবুজ আন্দোলনকে নিজেদের আয়ত্বে নেয়ার অপচেষ্টা করে আসছেন উক্ত সিন্ডিকেট। বিএনপি-জামাতের এই দুইজন সক্রিয় সিন্ডিকেটের সাথে বিভিন্ন পেশার আরও কিছু কথিত সংগঠনের নেতা পরিচয় ধারীরা জড়িত বলে জানা গেছে।
সূত্র আরও জানায়, তাদের দুরভিসন্ধিমূলক কর্মকাণ্ডে বাধা প্রদান করায় প্রতিশোধ স্বরূপ সবুজ আন্দোলন’র চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদারকে সংগঠন থেকে সরিয়ে দিতে এবং সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ণ কাজকে ব্যাহত করার উদ্দেশ্যে বিএনপি-জামাতের উক্ত সিন্ডিকেটের বেশকিছু সদস্য সবুজ আন্দোলনের অর্থ দাতা ও উপদেষ্টা শাহাবুদ্দিন মিয়াকে কুমন্ত্রণা দিয়ে আসছে। পরবর্তীতে ওই সিন্ডিকেট ও তাদের সহযোগীরা চেয়ারম্যান পদ থেকে বাপ্পি সরদারকে সরাতে তৎপরতা চালানো শুরু করলে এই বিষয়ে সংগঠনে অন্তঃকোন্দল শুরু হয়।
এছাড়াও আরেকজন পরিচালক আলহাজ্ব আলমগীর হোসেন টাঙ্গাইল জেলায় সরকারবিরোধী বিএনপি জামাত পন্থী ও কথিত সাংবাদিক পরিচয় ধারী। বর্তমান চাঁদাবাজি মামলায় কারাগারে আটক আছে। অন্যদিকে আরেক পরিচালক মোঃ মোবারক হোসেন যিনি বর্তমানে বাহারাইন প্রবাসে অবস্থান করছে। তিনি কুমিল্লা জেলার লাঙ্গলকোট উপজেলার আশারকোর্ট ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে নির্বাচন করেন।
সবুজ আন্দোলন’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদার এই ষড়যন্ত্রের জন্য সরকার, দেশের সকল গণমাধ্যম কর্মী ও সচেতন মহলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন। তিনি বলেন, সবুজ আন্দোলন রাষ্ট্র ও জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা শ্রদ্ধেয় শাহাবুদ্দিন মিয়াকে আমার বিষয় বিভিন্ন রকম সরকারবিরোধী সাজানোর চেষ্টা করে আসছে। মূলত তাদের উদ্দেশ্য, আমার শ্রম ও মেধা দিয়ে গঠিত সবুজ আন্দোলন নিজেদের করে নেওয়া। এহেন ফায়দা লোটার চেষ্টাকে কোন ভাবেই সফল হতে দিব না। সংগঠনের সকল আয় – ব্যয়ের হিসাব স্বচ্ছতার সাথে আনুষ্ঠানিক ভাবে সকল গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে জানানো হবে।সবুজ আন্দোলন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান’র লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন ও নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ তৈরিতে অন্যতম স্বারতি হতে চায় সবুজ আন্দোলন।
Leave a Reply