শাহ্ হিরো খুলনা জেলা প্রতিনিধি:বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণে খুলনার কয়রা থানা পুলিশ এখন উপজেলার সর্বত্রই প্রশংসিত। তাদের মানবিক কার্যক্রম ও দূর্যোগ মুহুর্তে মানুষের পাশে থেকে ত্রান ও মানবিক সাহায্য প্রদান, মানুষের মনে সেবক পুলিশের আস্তা অর্জন করেছে। জেলা পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ এর নির্দেশে কয়রা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোঃ রবিউল হোসেন কয়রা থানা পুলিশের সকল সদস্যদের নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি মানবিক সাহায্য জনগণের কাছে পৌছে দিচ্ছেন সর্বদাই ।
বর্তমানে বিশ্ব জুড়ে আতংক মহামারী করোনাভাইরাস মারাত্নক আকার ধারন করা সময়ে,ঠিক সেই সময়ে মরার ওপর খাড়ার ঘা ঘূর্ণিঝড় আম্পান। আম্পানে কয়রা উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী মানবতার জীবন যাপন করছে ।তাদের পাশে কয়রা থানার মানবিক পুলিশ সদস্য সাধ্যমত সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়া সহ দিচ্ছে শ্রম । করোনার শুরেতে ৮ই মার্চ থেকে মানবিক পুলিশ বর্তমানে ঘূর্ণিঝড় আক্রান্ত উপজেলা ইউনিয়ন, গ্রাম,গুলোতে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও ক্ষতিগ্রস্ত বেঁড়িবাধ নির্মাণে স্থানীয়দের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে কয়রা থানা পুলিশ।পাশাপাশি দুর্যোগ কবলিত এলাকাগুলোতে প্রয়োজনীয় খাদ্য সহায়তা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের সেবা দিচ্ছেন কয়রা থানা পুলিশ। জনসাধারণকে সেবা প্রদান করে উপজেলার মানুষের কাছে শতভাগ আস্থা অর্জন করেছেন কয়রা থানা পুলিশ এই পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যগণ।করোনায় আক্রান্তদের হোম আইসোলেশন, লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা, নিজস্ব অর্থায়নে অসহায়দের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ এবং ন্যায্যমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রিতে সহায়তা করেছে উপজেলার পুলিশ বাহিনী।কয়রা থানায় পুলিশের সব কয়টি ফাঁড়িকে জনসেবায় নিয়োজিত রেখেছেন জেলা পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহর নির্দেশে কয়রা অফিসার ইনচার্জ মোঃ রবিউল হোসেন প্রতিনিয়ত পুলিশের টিম নিয়ে ছুটছেন উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে।সর্বদাই বিরামহীন ভাবে মানুষের সেবা করে যাচ্ছে কয়রা থানা পলিশের টিম।এতে উপজেলার বাসিন্দাদের কাছে পুলিশের মানবিকতা প্রশংসিত হচ্ছে। অপরদিকে কয়রা থানা পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।
জানা যায়, মহামারী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকেই ও বর্তমানে ভাঙ্গনে প্লাবিত এলাকা কয়রা থানা ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। ফলে জনসাধারণের মনে দারুন ভাবে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।
নিজেদের বেতনের টাকা দিয়ে উপজেলার করোনায় কর্মহীন ও আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় হতদরিদ্র প্রায় ১ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেন।জনসচেতনতা সৃষ্টি করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলা ও উপজেলার বাসিন্দাদের প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে সচেতন করা, করোনায় আক্রান্তদের ঘরে ঘরে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়া এবং অসহায় শ্রমিকদের মানবিক সহায়তা প্রদান, রিকশা-ইজিবাইক এবং সিএনজি চালকদের খাদ্য সহায়তা প্রদান, করোনায় মৃতদেহ দাফন করা দায়িত্ব নেয়া, স্বেচ্ছাশ্রমের গ্রামবাসিদের সাথে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামত করা সার্বিক দেখভাল করা,ক্ষতিগ্রস্ত ঘর মেরামতের কাজ করা, করোনা কালিন পানিবন্ধী অবস্তায় জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত রাস্তাঘাটে পথে ও প্রান্তরে থেকে আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছেন।থানা পুলিশের প্রতিবন্ধী ও হিজরাও পেয়েছে মানবিক সহায্য ও সহযোগিতা।কয়রা থানা পুলিশ এখন এ উপজেলার বাসিন্দাদের নিকট প্রকৃত সেবকে পরিণত হয়েছে। জনগণ পুলিশের প্রকৃত সেবা পাচ্ছে।পুলিশের নেতিবাচক কর্মকাণ্ড নিয়ে এক সময় মানুষ সমালোচনা করত। পুলিশের সেবায় তা এখন বদলে গেছে। করোনা দুর্যোগে জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে মানুষের সেবা করে কয়রা থানা “পুলিশ এখন জনসেবার মডেল”।
থানা পুলিশ সব দায়িত্বে ঊর্ধ্বে উঠে এমন মানবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার পাশাপাশি উপজেলার আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নের ভুমিকা বজায় রাখছেন। এতে উপজেলার বাসিন্দাদের মধ্যে স্বস্তি বিরাজ করছে। করোনায় মানুষের সেবা প্রদান করতে গিয়ে ইতিমধ্যে জেলা পুলিশ সহ বিভিন্ন জেলার পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। অনেকে মারা ও গেছেন।কিন্তু তাতেও কয়রা থানা পুলিশ থেমে নেই, জীবনের শেষ বিন্দু সময় পর্যন্ত দেশ ও জাতির সেবায় নিজেদের বিলিয়ে দেবে বলে তারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বলে জানান।
এ ব্যাপারে কয়রা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ রবিউল হোসেন বলেন ,আমি মনে করি, পুলিশের সামগ্রিক কাজের চিত্র, সমাজের বাস্তব চিত্র ফুটিয়ে তোলে। সরকার প্রধান সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও আধুনিক জনবান্ধব পুলিশ সৃষ্টি করতে সর্বদা তৎপর। তাইতো বাংলাদেশ পুলিশ আজ জনগণের বন্ধু ও মানবিকতার উৎকর্ষতায় অনন্য। আমরা আপনাদের তথা জনগণের বন্ধু হিসেবে সবসময় পাশে আছি। আসুন সবাই সচেতন হই, নিজেকে নিরাপদ রাখি, দেশকে নিরাপদ রাখি। আমি অত্যন্ত মানুষ, বাংলাদেশ পুলিশ পেশাদারিত্ব ও মানবিকতার সমন্বয়ে সবসময় জনগণের বন্ধু হিসেবে কাজ করে যাবে। জনগণের বন্ধু বাংলাদেশ পুলিশকে আরো জনকল্যাণমুখী ও সমৃদ্ধ করতে সময়োপযোগী সক্ষমতা বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা অটুট থাকুক, দেশ ও জনগণের কাছে এই প্রাপ্তির প্রত্যাশা ও কৃতজ্ঞতায় সমৃদ্ধশীল বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলুক।তিনি আরও বলেন, পুলিশ একমাত্র প্রতিষ্ঠান যারা জনগনের সবচেয়ে কাছাকাছি থেকে দায়িত্ব পালন করে। সুপার সাইক্লোন ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও করোনা পরিস্থিতিতে পুলিশ মানুষের কাছাকাছি থেকে দায়িত্ব পালন করার সুবাধে মানুষের সকল কষ্টের বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরেছে। মূলত এই ধারণা থেকেই সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে কয়রা থানা পুলিশ জনগণের সাথে থেকে জনগণের সবধরনের দুঃখ লাঘবে জনগনের পাশে থেকে কাজ করছে।
Leave a Reply